এই নিসর্গ প্রবাসে আজ
এই হাত স্পর্শ করে চতুস্কোনি
                              ভালবাসা;  
এদিকে বিনিদ্র রাত কাটে—
শ্যামলী অরণ্য বীথি – তোমাকে
বার বার ফিরে পেতে চাই
                              নিলাজ বিছানায়।


অন্তরিত গুঢ় দৃষ্টি বিনিময়ে  
এই হাত স্পর্শ করে- চতুস্কোনি
                                ভালবাসা;  
তথাচ আঙুলেরা ততটাও পরিবাহী নয়  
যতটা হওয়ার ছিল—
বখাটে জিভের মত; খ্যাপাটে ঠোঁটের মত
এলানো চুলের মত; লুকানো তিলের মত
উরুর তাপের মত, ভুরুর ভাপের মত
স্তনের মাপের মত—  
                              প্রতিক্রিয়াশীল—।


পৃথিবীর যত বয়স্কা নারীদের
প্রথম সকালের বাসি ঘুম— বিষণ্ণ মেজাজ
লিখে রাখি ভাষান্তরে –
রতিক্রিয়ার ন্যায় প্রাত্যহিক অভ্যাস যত
আজন্ম লালিত অতীন্দ্রিয় ফ্যান্টাসি
জঙ্গম দেওয়াল সকল- ঝুল কালি ঝেড়ে ফেলে
নিকানো নাভির রাজপথ বেয়ে
                          রেখে আসা আদিম স্বাক্ষর
বাম হস্ত নিয়ম হয়ে গিলে নেয়—
                                   উলম্ব সময়;  


বিগত যৌবনা পৃথিবীর গর্ভতল হতে
                       উঠে আসা উষ্ণতা পেতে
শব হয়ে শুয়ে রই তোমার বুকের কাছে
দীর্ঘতম প্রতীক্ষা অশেষ—
হে দেবী— উঠে এসো বুকের ওপর
আশ্লেষে আশ্লেষে কর পাগল প্রেমিক;  
                             মন্থন কর ক্ষীরোদ সাগর—
দোহাই; ঘামের দিব্বি তোমার—
আ-আলজিভ উদগ্র পিপাসার্ত অসুর গহ্বরে
সিঞ্চিত কর দেব-ভোগ্য আসমুদ্র অমৃত ধারা
                                             আঃ শান্তি! শান্তি –
অবশেষ দেহাংশ তুলে দিয়ে জঠরে তোমার
                  আশিস প্রত্যাশে নতজানু ভূমিষ্ঠ প্রার্থনা—
         ত্বং নমামি! ত্বং নমামি… ত্বং নমামি…!!