শ্যামলী ঘাসের কাছে
নিরম্বু তৃষ্ণায় ফুটি ফাটা মাটি-
পৃথিবীর পথ হতে উড়ে যায়
রাঙা ধুলা সারসের মত-
অবিরত ম্রিয়মাণ কোন এক
প্রণয় বিশ্বাসে ।।


তারা খসে ধুসর প্রান্তরে
আমি একা, পৃথিবীর পথে পথে-
রাত জাগা পাখির মত
অবিরত যাযাবর হয়ে যাই
দু পায়ের দুঃসহ তাড়নে।


অকারণে অনেক কথার পরে
ভাঙা চাঁদ যদি মুখপানে চেয়ে
নিরন্ন খুধায় মুঠো টাক ভালবাসা
চেয়ে নিতে আসে-
আমিও পারিনা ফেরাতে
নিঠুর আঘাতে।
তোমাকে দেখিনা আর
প্রাত্যহিক দৃকপাতে।
অথচ বুকের কাছে
প্রিয় হাত দুটি রেখে-
অনুভবে পেয়ে যাই
প্রিয় পরশ।


ভোরের আলোর থেকে সরে যায়-
ছেঁড়া মেঘ।
স্বপ্নেরও ঘুম ভাঙে রাত শেষে-
আমি একা বসে বিরল বাতায়নে।
রাত জাগা পেচকের চোখে
নূতন ভোরের কাছে –
নতজানু ক্ষমা চেয়ে নিই,
কেননা—
আমায় ফিরে যেতে হবেই
অন্ধকার বিদিশার কুয়াশায়।


শ্যামলী ঘাসের কাছে
সোনা রোদ রবে উন্মুখ।
প্রিয় ঠোঁট পেতে প্রিয় চুম্বনে
অকারণে নিজস্ব সীমাবদ্ধতা ছেড়ে-
ময়ূরাক্ষীর কাছে এসে বসি।
হেঁট হয়ে ঠোঁট রাখি
সমান্তরাল পাড়ে  --
কাদামাটি ভেজা চন্দন হয়ে
ডেকে নেয় কাছে
নিলাজ ভালবেসে।
তোমাকে দেখিনা আর –
দূরতম প্রবাসে।


বিক্ষুব্ধ সময় ছাড়া
গত্যন্তর অবসর কিছু মাত্র নেই
অবকাশ –।
অবকাশ –
ছিল প্রয়োজন
আজ কিছু মাত্র নেই অবশেষ
অক্ষম মোহে অন্ধ ভালবাসা ছাড়া
ভালবাসি দুখিনী কবিতা।


তারপর –
তারপর অগণিত তারা ঝরে আলোকে।
আমি কাঙালের মত হাত পেতে
কুড়ায়ে নিয়েছি যত
রাখিবার নাই তত ঠাঁই,
ফিরাবারে চাই –
ফিরে যাই বিরাগ অভিমানে
প্রিয়া মোর ফিরে রয় কৃত লজ্জায়
আমি যে পারিনা ফিরিতে
ভোরের দীপ্তি ছায়ায় –


তোমাকে দেখিনা আর –
অম্লান সার্থকতায় –।।