তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার সিঁদুরে মেঘ –
আমাদের সাঁঝের বেলায় দেখা।  
বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে
ক্ষণিক প্রেমে প্রণয় সুখে
নিদাঘ মেঘে অচিন পথে চলা।


তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার মুক্তি সুধা।
আপন মাঝে মুক্তি ভুলে থাকা।  
দ্বিপ্রহরে উপপ্লবে পথের বাঁকে
তোমায় আমায় নূতন করে দেখা।  
বুক জ্বলে যায় –
হাত ছেড়ে তাই চোখের পানে
চোখ বিঁধে আজ প্রাণের কথা কই।


তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার সর্ব হারা সই
পিদিম জ্বেলে দুয়ার খুলে
শাওন রাতে দাঁড়িয়ে ছিনু একা।  
পথের বাঁকে তোমার মতন  
আঁচল চেপে মুখে
নির্নিমেষে নীল নয়নে
কেউ আসেনি প্রাণের মাঝে –

বকুল সাজে পূজার ডালি
পিঠের পরে মুক্ত বেনী
চলছিলে সাবধানী।
পিদিম জ্বেলে দুয়ার খুলে
দাঁড়িয়ে ছিনু শাওন রাতে –
তোমার আঁচল লুটতে ছিল
রাঙা মাটির পথে।


তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার রাঙা ধুলা।  
তোমার বিতান ছায়ে
অনীশ কেতন মুগ্ধ মোহে    
বুক জ্বলে যায় –
বুকের মাঝে বুক চেপে তাই
প্রণয় সুখের জুড়াই জ্বালা
তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার ঝরা পাতার মালা।


অরূপ খোঁজে দৃষ্টি দানে
বৃষ্টি মেখে নিশুত রাতে
একলা হওয়া চাঁদ –  
একলা এসে পথের পাশে  
বসল বীথির বুকটি ঘেঁসে  
তুমি তখন নীলাম্বরী
জ্যোৎস্না ফেরে পায় –


তোমার কৃষ্ণচূড়া –
আমার ঊশর মরু
দিগবলয়ে উধাও হয়ে ধায়।।
==============================================================
পুরানো ডায়রি থেকে আরও একটি লেখা... প্রায় ১৭ বছর আগের লেখা... তারিখ লিখতে হয়তো ভুলে গিয়েছিলাম...