কি এমন ক্ষতি বল –
যদি হাজার বছর পরে
জাগ্রত আলোর কাছে  
উপুড় করে দেই অপূর্ব স্বরূপ?  
ঘুম নয়, ফসিলের মত
মাটির গভীর গভীরতর রসে দ্রব
বশ্যতা এনে, বিবর্ণ মলাট খুলে
মেলে দেই প্রশস্ত শরীর,
সমস্ত জটিল গঠন ভেঙে
সরল রেখার কাছে –
অবধান ঘনিষ্ঠ শীৎকার
বলে দেই অন্তর্গূঢ় অথবা
অসাবধান কথোপকথন।


কি এমন ক্ষতি বল –
যদি অধোগতি স্বপ্নের ঘুমে
মেশে ছাতিমের ঘ্রাণ, অথবা
আবর্জনার লঘু মরালী আবেশ!
মানুষের শরীরও উপচে ওঠে
অজস্র গন্ধ মিছিলে –
কস্তূরী গন্ধ পেলে বুঝি –
পদ্মিনী নারী;
উচন্ড ফেরোমেন চিনিয়ে দেয় –
অবুঝ পুরুষ!
পুরুষেরা অবুঝ হবে; এ যেন
মানুষের অন্তর্গত সঞ্চয়—


কি এমন ক্ষতি বল –
যদি হাজার বছর পরে
সমস্ত বুভুক্ষু চোখের সমুখে
মেলে দেই উন্মুক্ত স্বরূপ?
পৃথিবীর যাবতীয় ব্যর্থ মিছিলের
আন্দোলনের অন্তর্গত আপাত নিবিড়
অথচ চতুর পটপরিবর্তন
ক্ষমতার রক্ত চক্ষু – চোখ বিনিময়
চতুর শিয়ালী আলাপ
এই বুকে –
কি এমন ক্ষতি বল –
যদি ভীম নখে চিরে দেই
এই দুঃশাসনী বুক
হাজার বছর পরে--;


মানুষের আদিম কামনার
জলজ প্রাচীর দিয়ে বিঁধে ফেলা
বালিয়াড়ি ঝড় –
অশালীন কথ্য প্রগতি
প্রগতির অন্তঃস্থ ব্যবচ্ছেদ – ইত্যাদি
এমনতর হাজার গোপন গোপনতর
বেনামী দলিল – আমার জোব্বার
ছেঁড়া পকেটে- অলিন্দে- অন্দরমহলে;
কি এমন ক্ষতি বল –
যদি হাজার বছর পরে
জাগ্রত আলোর কাছে
উপুড় করে দেই অপূর্ব স্বরূপ!!