অঙ্কেতে তুই একশ'তে আশি- পঞ্চাশও আমি পাইনি    
তোর সাথে হোক মাখামাখি- একেবারে তাই চাইনি।    
কোচিং এর ক্লাসে আলো আঁধারে নোট বিনিময় কালে    
ছুঁয়ে দিলি তুই আচম্বিতে-- ব্রণ জর্জর গালে!  


পঞ্চমী ভোরে হলুদ শাড়িতে অঞ্জলি দিতে এসে
কুয়াশার মেঘ সরিয়ে দিয়ে উন্মুখ দিলি হেসে।  
গোবেচারা আমি ঢোক গিলে ভ্যাবাচ্যাকা খাই আপসে  
গাধাবোট করে জুড়ে নিলি তুই দুর্বার তোর সাহসে।  

কলেজের শেষে- কেরিয়ারে মেতে চলে গেলি তুই হেঁটে  
সিয়াটলে- নাকি সান্দাকফু সবকিছু দিয়ে ঘেঁটে।  
দুবছর আগে হঠাৎ উদয়- আবারো তুফান তুলে    
ক্যাবলাকান্ত আছিস কেমন? গিয়েছিস নাকি ভুলে!      


মুঠোফোনে তুই চুমু ছুড়ে দিয়ে—    এত যে আদর করিস!
হাওয়াতে বিলিয়ে বুদবুদ শত- কি করে ভুলিয়ে রাখিস!
বালিশে জড়িয়ে কাতরে ঘুমিয়ে— তখনো আমাকে ভাবিস!  
বিছানা চাদরে লেগে থাকা ঘামে কখনো আমাকে খুঁজিস!


সকালের চায়ে ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুক যখনই দিস
খবরের ভিড়ে নিউজ পেপারে আমার খবরও নিস!  
 স্নান সেরে এসে একা আয়নায় কিভাবে নিজেকে দেখিস?  
রূপকের থেকে চুরি করে রূপ- রূপকথা লিখে ফেলিস!  


অফিসের ভিড়ে ব্যস্ত দুপুরে কফি ক্যাফে-ডে র ফাঁদে  
নব যুগলের হঠাৎ সোহাগে তোর ঠোঁটও কি কাঁদে!  
ভ্যানিটি ব্যাগে জমানো টিস্যু গুছিয়ে যেমন রাখিস
অগোছালো প্রেমে ক্লান্ত বিকেলে ভালো কি তেমনই থাকিস!  


ডিনার টেবিলে মোমবাতি জ্বেলে পেয়ালা সাজিয়ে রাখিস
আলোকের নিচে আলেয়া আমাকে ছুঁয়ে কি কখনো দেখিস!
নাকছাবিতে নিয়নের আলো আলগোছে ঠিকই রাখিস
প্রজাপতি সম প্রেমিকের দলে আমাকে গুলিয়ে ফেলিস!  


শীতে গরমে বর্ষায় ভিজে স্বাক্ষর তোর রাখিস
শারদীয়া ভোরে আবাহনী গানে দুর্গার রূপে সাজিস।  
খোলা চুল মেলে ফেডেড জিনসে আগুনের রঙে রাঙিস  
হৃদয়ের যত ব্যাকুলতা- তাকে লুকিয়ে কোথায় রাখিস!  


মরালী গ্রীবায় জল বিভাজিকা নিষিদ্ধ এক গলি
কামনার নামে ভাস্বর হয়ে হাসনুহানার কলি।  
তামাকের ধোঁয়া স্পাইরাল হয়ে ভাইরাল ছবি তোর  
টাকিলার শটে নেশা যৌবন গোলাপী ঊষার ভোর।  


নেশাতুরা রাত ঢলে যায় যত টলে যায় তোর চরণ
অবারিত দেহে শারীরিক প্রেমে নিয়ত রক্ত ক্ষরণ!  
প্রতি মাসে ওই  চার-ছ দিনের যন্ত্রণা বুকে চেপে—  
অবহেলা গুলো ফিরিয়ে দিস সুকঠিন বিক্ষোভে!  


বাসে ট্রেনে ট্রামে মেট্রো-রেলে ক্ষুধিত চোখের ভিড়ে
সিনা টেনে তুই চাবুকের মত হেঁটে যাস উঁচু শিরে।  
দাঁত চেপে দাঁতে নির্ভীক চিতে বিদ্রোহ পুষে রাখিস—  
নিন্দিত যত নিষেধের বেড়া অনায়াসে ভেঙে ফেলিস।  

ভ্রুকুটি তে তোর পুড়ে ছারখার লোকলজ্জার ভয়—  
রক্ত বীজের বংশ যদিও নেই কোন তার ক্ষয়।    
ভ্রূক্ষেপ হীন বিন্দি কপালে বয়স টা তোর বাড়ে না  
"উড়নচণ্ডী" উপমা টা তোর কখনোই পিছু ছাড়ে না।।
===========================