সখের ঠাকুর পল্টু বাবু্ অনুরোধের পাত্র,
চড়ুইভাতির দামি রান্না করেন কেবলমাত্র।
ডাল, ভাজা, চাটনিগুলো যে যার মতো রাঁধে,
মাংস চড়ার সময় হলেই সবাই তাঁরে সাধে।
মসলা মাংস কষে কষে প্রায় শুকিয়ে এলে,
কষা মাংস কেটে খানিক জলেরে দেন ঢেলে।
এমনি ছিল টেস্ট আনার চিরাচরিত প্রথা,
চেটে পুটে খেয়ে সবাই বলতো জয়ের কথা।
একদিনতো এমনি কোন  চড়ুইভাতির দিনে,
মাংসটাতে সবাই নিল পল্টু বাবু চিনে।
সেদিন আবার অনুরোধের এমন মাত্রা নিল,
দারুণ টেস্ট আনায় বাবু সজোরে ধ্যান দিল।
কষে কষে শুকোয় কড়া তবু বাবু ভাবে,
আর একটু কষলে তবেই স্বাদটা বেড়ে যাবে।
কিন্তু বাবুর গোয়ার্তুমি আর জ্বালানির চোটে
হঠাৎ করেই মাংস পুড়ে পোড়া গন্ধ ছোটে ।
কি হলো কি হলো বলে সবাই এল ছুটে,
পল্টু বাবু ততক্ষণে জল দিচ্ছে উঠে ।
কেউ খেল না হায়রে সেদিন গন্ধ মাংস ঘাঁটা
সেদিন থেকেই পল্টু বাবুর নামে পড়ল ভাঁটা।