শীতকালে সেই নদীর চরে
শৈত সকাল বেলা,
জন ক'জনের চড়ুইভাতি
যায় কিরে ভাই ভোলা?
সকাল বেলায় উঠেই চলে
বাজার করার পালা,
বাসন আনা, মাংস কাটা
স্নান করবার জ্বালা।
সব কিছু বেঁধে, ঠিক ঠাক করে
গেলাম নদীর চরে,
তড়িঘড়ি করে কাটাকাটি করি
জল আনি ড্রাম ভরে।
রাঁধুনি কে যে, তার ঠিক নাই
যে যা পারে করে,
সবাই মিলে গামছা বাঁধি
রান্না করার তরে।
এক জন যদি তেলটা ঢালে
অন্য জনা লঙ্কা,
আরেক জনা লবন ছড়ায়
বাকিরা লবডঙ্কা।
এমনি করে এক সময়ে
শেষ করি সেই রান্না,
তাড়াহুড়ো করে পাত পেতে বসে
পেল নিদারুণ কান্না।
নুনের গুতোয় অসাড় জিহ্বা
লঙ্কায় লালে লাল,
ঢলঢলে ঝোল আধকাচা ভাজা
সব কিছু পয়মাল।
কোনমতে খেয়ে দাঁতের কৃপায়
ধীরেধীরে বাড়ি চলি,
জীবনে অনেক রান্না খেয়েছি
সেটারে কিভাবে ভুলি?