বসন্তের ললিত রঙে
রেঙে ও রাঙিয়ে,
সুখানুভবের জ্বালায়,
মৃত্তিকার গর্ভে  , একটি বীজ
বপন করে মালী।


অনেক যত্ন করে ,
তীব্র যাতনা সয়েও
জঠরে, একটু একটু করে
বড় করে, একটি পুষ্প শিশু
প্রসব করে মৃত্তিকা জননী।


কষ্ট অনেক,  তবুও
জীবনের সব কটি সাধ্যের অনু
একত্র করে, বৃন্তে পুষ্প
প্রস্ফুটিত করে, বাগানের মালী।


ফুলের সৌরভে, সন্দর্শনে  
সম্মোহিত হয় মধুকরেরা।
তাদের কেউবা শুধুই দেখে,
কাছে পাবার স্বপ্ন আঁকে।
আবার কেউবা মিতালি করে
প্রেমের বাঁধনে বাঁধে তারে,
মধুর স্বাদ সে পেতে চায়,
মেতে ওঠে যৌবনাকাঙ্ক্ষায় ।


পূর্ণ সম্মতি জানায় ফুলটিও
সকল কিছু দিয়ে তার,
আপন করে তারে।
ভ্রমরের গুঞ্জরণে মোহিত হয়ে
চিরসাথি ভাবে তারে।


ধীরে ধীরে সন্তান-সম্ভবা হয়
ফুলটি,  কলঙ্কিত প্রেমের দ্যুতিতে।
শুকনো মধু আর টানেনা মধুকরে,
পাড়ি জমায়, অন্য ফুলের পাড়ায়।


পরিত্যক্তা ফুলটি বিরহে শুকোয়,
সন্তানকে মালির হাতে দিয়ে
ঝরে যায় বৃন্ত হতে,
চিরতরে,  গর্ভধারিণী মৃত্তিকা
ঠাঁই দেয় তারে।


বি:  দ্র: বন্ধুরা চিরাচরিত ছন্দ থেকে বেরিয়ে এসে একটু আধুনিক হওয়ার চেষ্ঠা করলাম। কেমন হোলো মন্তব্য করবেন প্লিজ।