উড়ে উড়ে ভেসে ভেসে দেশটিকে আরেকবার
আমি; হয়তো তপ্ত বায়ুর সাথে, আঘ্রাণ মিশে যাব—
দহ্যমান অঙ্গগুলো গলে যাবে—ক্ষয়ে যাবে অনলে,
দেহ হবে ধুলো, লোভী শেয়ালের ধারাল নখের আঁচড়ে
অনন্ত আকাশে হয়তো উদ্দিয়মান আত্না দেখবে:
সন্ধ্যায় ম্রিয়মাণ আলোতে বাঁশ বাগানের মাথায়
নীড়ে সাদা বক বসে; ধাবমান উড়ন্ত এক ঝাঁক
টিয়া, উদ্বাহু বর কনে সাথে—লম্বা সারিতে
ঝাপসা কালো পাহাড়ের দিকে; দিগন্তের অস্তগামী
অংকিত তপন দেখে—
দুরন্ত রাখাল সারাদিন পর গোয়ালের পথে চতুষ্পদ
প্রাণীদের সাথে; গৃহের গৃহীনী ব্যস্ত অন্ধকারের
আলো দ্বীপ খানি জ্বালাতে; সন্ধ্যা তারা দেখে
কালো এসেছে ছুটে আলোর বাধা টুটে ধরণীর
’পরে; অনুক্ষণ ভেসে খালি তরীগুলো ক্লেশে
ফিরেছে নীড়ে—বাঁধা পায়ে দুলছে মৃদু, ছোট্ট
গাঙের পরে;-- তারপর ছুটে যাবে মহাবিশাল
আকাশে; অসীম শূন্যতায় হারাবে, তবু
শেষ দেখা হবে না নিঃশেষ।
‘৯৭