আজ একটু আগেই ছাড়া পেয়ে অফিস থেকে বাসায় ফিরেছি।
বনলতা বললো, কিছু কথা আছে।
কি কথা?
এখন না, একটু জিরিয়ে নাও। পার্কে গিয়ে বলবো।
আমি বিছানায় গড়াগড়ি খেতে খেতে বলি,
তোমার বোন ফিরেছে? না, এখনো ফেরেনি।
আমি জিরোতে তুমি তৈরী হয়ে নাও। সে বলে, আচ্ছা।
দুটি বেড রুমের ছোট্ট আমার পাখির বাসা।ছোট সংসার।
সেই বাসারই ভাড়া জোগানোর চিন্তা সবচেয়ে বেশী।
কিছু কম খেয়ে খরচ কমানো যায়, বাসা ভাড়া কিভাবে কমাই?
আমার স্ত্রী ড্রেস চেঞ্জ করে, আমি চেয়ে দেখি সুডৌল কটিদেশ,
গভীর নাভি আর উন্নত স্তনদ্বয়…
তার মুখে জিজ্ঞাসা কি দেখছো? আমি নিশ্চুপ!
গুলশার লেকের পাশ দিয়ে হাঁটি আমরা। এখানে-
কী দারুন ভাবেই না স্বর্গ-নরক ভাগ করেছে মানুষ;
গুলশানের আলিশান প্রাসাদ সারির পাশেই লেকের অপর পারে কড়াইল-বাড্ডাবস্তি!
আমরা বিবাহিত কিন্তু হাতে হাত ধরে আমরা বসি নিকেতন পার্কে;
সবাই বলে বিয়ের পর আর ওসবে রোমান্স থাকে না!
বনলতা বলে, তুমি কি আমাকে সত্যি করে ভালোবাসো?
হ্যাঁ বাসিই তো!.. এই তাহলে তোমার কিছু কথা?
না, ভালোবাসলে তবে কেন আমায় প্রেমপত্র লিখছ না?
না হলে আমি কিভাবে বুঝবো তোমার প্রেম?
দুর পাগলী! বিয়ের পর কেউ করে নাকি ন্যকামী!
হ্যাঁ, আমার ঐ ন্যকামীই চাই!
পাবার পরও পাওয়ার যে আশা সেইতো সত্যিকার ভালোবাসা।