যখন সঙ্গ হীন অলস অবেলা, সময় অচল পঙ্গু ও বৃথা,
ঘুরে ঘুরে মনের চিলে কোঠায় পাক খায় কিছু কিছু কথা।
মনের জানলা খোলা,অচেনায় পাড়ি দিতে বাধা নেই যেথা।


বেলাগাম গতিময়,আকাশে ডানা মেলা পক্ষীরাজ সেথা,
উড়ে যায় ফুলেল উপত্যকা হয়ে তূষার বিছানো শৈল শিরে।
থরে থরে ফুটে আছে ব্রহ্ম কমল,মন যদি চায় একটু জিরোয়,
নয়তো আবারও,আবারও উড়ান ভরে আরো আরো দূরে।
শুক তারা ধ্রুব তারা ছেড়ে ধাবিত উধাও মন গ্রহে গ্রহান্তরে।
নক্ষত্র পঞ্জীভূত ছায়া পথে নিমেষে সহস্র আলোকবর্ষ পারে।


ধোঁয়ার কুণ্ডলী মাঝে  সদ্যজাত নক্ষত্র  শিশু কিরণ মেলে
অনন্ত কক্ষ পথের অমোঘ টানে পাড়ি দেয় ধীরে, ঘূর্নি পাকে।
পার হয়ে চৌম্বকিয় বলরেখা, রাশি রাশি আলোকনা,
বরফ ঝড়ের সাথে পাঞ্জা লড়ে  আরও দূর মহাশূন্যে জ্যোতিষ্ক লোকে।


সময় কখন অজান্তে বাষ্পীভূত সেও বিলীন কোন মহাশূন্যে ওই।
ভু-পাতিত, আছি, ছিন্ন মাদুর, মাটির কুঁজো ভরা জল।একটু গলায় ঢেলে
ফিরে যাই , বলাই বাহুল্য যেতে বাধ্য হই।
যেখানে রেষারেষি হট্টগোল,প্রতিহিংস্র প্রতিযোগীর তীব্র তিক্ততা,
তাকিয়ে দেখি ছন্ন ছাড়া কিছু আঁকিবুকি এখানে ওখানে
সযত্নে সাজানো ছিন্ন পত্রে,ফুটে ওঠে ম্লান মূক একটি কবিতা।