সবাই জানে সিধু কানু সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন।ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে প্রান দিয়েছিলেন।এদের নাম ভারতের ইতিহাসে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।কলকাতাতে এঁদের নামে একটি রাস্তা আছে। নাম সিধ-কানু ডহর।তো এই ডহর শব্দটি কোন ব্যাক্তির নাম নয়। এটি একটি আঞ্চলিক বাংলা শব্দ সম্ভবত সাঁওতালী ভাষা থেকেই বাংলাতে এসেছে।জঙ্গল মহলে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষীরা বহুল ব্যবহার করে।সাঁওতালী ভাষাভাষীরাতো করেই।
নেতাদের এসব জানার দরকার নেই এরা সব জান্তা। সব স্টেজে মেরে দেবে। এদের ইতিহাস বিজ্ঞান ভূগোল...,ইত্যাদি যে বিষয় বলুন না কেন,এরা গড়্গড়িয়ে সব বলে দিতে পারে।বিতর্কে এরা দাদের মলম থেকে নাসার (NASA) কোন্ট্রোরুমের লজিক সিস্টেম সম্বন্ধেও সমান ভাবে লেকচার দিয়ে দেবে। শুনে বিজ্ঞানীও ভিরমি খাবে ও যুক্তি খুঁজে পাবে নাই ।সেভাবেই এই নেতৃ মহোদয়া  রাস্তাকে ডহর বাবু বলে চালিয়ে দিলেন। কিন্তু কে বলবে,রাজা তোর কাপড় কই? এই নিয়ে এই তৃতীয় গল্প।


সিধু কানুর স্মরণ সভা বিশাল আয়োজন
মন্ত্রী ফন্ত্রী, চতুর নেতার অগাধ আগমন।
হেভী ওয়েট মন্ত্রী দেবেন তাদের গলায় মালা,
সসব্যাস্ত স্তাবক শাবক এ যে নজরে পড়ার বেলা।


মাইক ফুঁকে জানিয়ে দিল,
এবার বীর শহীদের মালা দেবেন মহান মহোদয়া
হাত তালিতে কান পাতাদায় এমন মহান বেলা।
মহোদয়া দেখেন সেথা দুটি প্রতিচ্ছবি।
সাঁওতাল বীর সিধু কানু। উনার দাবি
তৃতীয় কই? তাই হঠাৎ তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন
ডহর বাবু নাই? বলেন, আমি তো জানি ত্রয়ী
নেতা সিধ-কানু-ডহর।
অনেকেই চমকে উঠে, আহা! জ্ঞানের বহর!
ইনি কিন্তু অদম্য,
বলেন পরের বারে ভুল যেন না হয়।
আবার মঞ্চের নীচে
জনতার দিকে চেঁচিয়ে বলে, ডহর বাবুর
আত্মীয় কেউ আছে!


মূক জনতার শুধু মুখ চাওয়া চায়ি,
স্তাবকেরা অপলক ভক্তি গদ গদ,
সভা শেষে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত।
শহীদের আত্মা শান্তি পায় পেয়ে রমাপদ।