জীবন আমার বেশি দিনের নয়
কিন্তু এই খাটো জীবনে দেখার পাহাড় গগনচুম্বী।

দেখলাম মানুষ পশুর রক্ত নিয়ে করে
কামড়াকামড়ি হুড়াহুড়ি কাড়াকাড়ি,
কে কার আগে কুড়োবে প্রাণীর নিষ্প্রাণ দেহ।

কি আশ্চর্য এই পৃথিবী! কি নির্দয় নিষ্ঠুর !
দেখলাম মানুষ চুষে খায় মায়ের হৃৎপিণ্ড নিঃসৃত রক্ত
শুকনো লংকার গুঁড়ো মিশিয়ে।
পিতা নিজ কন্যার ইজ্জত লুটে সংঘ দেয় মা
পা ভেঙ্গে খোঁড়া সাজিয়ে ভিক্ষা করায়।


কেউ মরাকে আরও মারে কেউ আবার বাঁচায়
কেউ ঘোষ নেয় কেউ ঘুষখোরকে শাস্তি দেয়
সাধু চুরি করে না, করাই চোর কে দিয়ে
অগণিত মানুষ রাস্তায় পড়ে ধোঁকে ঈশ্বর কে ডেকে
কেউ আবার নিপীড়িত সমাজচ্যুত মানবের
খাবার কেড়ে ঈশ্বর কে দেয় খেতে।


দেখলাম যারা নিজে না খেয়ে সন্তানদের খাওয়ায়
সন্তানের অত্যাচারে অনাহারে খাবার খোঁজে
দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তারাই।


দোষীর দাপটে নির্দোষী ভয়ে কাঁপে কাটায় জীবন শ্রীঘরে
আঁধার আলোকে ধমকান, চাঁদ সূর্যকে করে দয়া
শক্তি যোগাতে সংসারে।


আরও দেখি স্বামী স্ত্রী কে,  স্ত্রী স্বামীকে
শাশুড়ি বউ কে,  বউ শাশুড়ি কে
বিজ্ঞান ধর্মকে ধর্ম বিজ্ঞান কে
সাক্ষর  নিরক্ষরকে নিরক্ষর সাক্ষরকে
দোষারোপ করে একে অপরকে ঢেকে নিজ দোষ।


শিক্ষিত অশিক্ষিত কু শিক্ষিত ক্রমশ বাড়ছে
বিপরীতে ক্রমশ কমছে সুশিক্ষিত।


আরও কত কিছু দেখি নিয়ত অহর্নিশি
যা যায় না করা প্রকাশ সামর্থ্যের অভাবে
শুধু এটাই বলে যায়  কিছু জন ছাড়া এই ধরায়  
সকলের কাছেই মানবতা আজ শুধু পোড়া ছাই।