সন্তান যখন ছোট ছিল মা কাঁদতেন
যদি হাঁটতে গিয়ে পড়ে যেতো-
যদি শিশুর অসুখ কিংবা কষ্ট হতো।
শিশু যখন আরেকটু বড়ো হল, মা কাঁদতেন
শিশুর আর্তনাদ শুনে অকাতরে বিদীর্ণ হৃদয়ে ।
যখন সন্তান বড়ো হল মা কাঁদতেন  
যদি কোন অকৃতকার্য বশত মার খেত অন্যের হাতে-
যদি স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হতো  
মা কাঁদতেন যদি সন্তান রাগ করে না খেত
পূজোর সময় ড্রেস কিনতে অক্ষম হতো।


যখন সন্তান বিবাহিত তখনও মা কাঁদতেন
যদি কোন ধরনের আঁচড় সন্তানের লাগতো  
মা তখনও কাঁদতেন যখন ছেলে বউমা কে নিয়ে
মাকে ফেলে একা একা নিরলে ঘুরতেন
দামি দামি মলে  অবহেলা করে মাকে  
মা তখনও কাঁদতেন যখন সন্তান ব্যস্ত হয়ে পরে  
মা অসুস্থ হলেও একটু যত্নের  অবকাশ করতে নারে
যদিও তা করতে পারে মায়ের তরে  
একটু শুশ্রূষা পাওয়ার আশায় বিষাদে  
তার স্নেহের ধন হতে।
মা তখনও কাঁদতেন
যখন সন্তানের কাছে দুমুঠো ভাত চেয়ে ব্যর্থ ফিরতেন
মা তখনও কাঁদতেন যখন এক কোণে পড়ে
সূর্যের আলো হতে বঞ্চিত হয়ে
গুটি মেরে অন্ধকার কক্ষে শুয়ে থাকতেন।
মা এখনও কাঁদেন বন্দি গৃহ হতে
যখন খুব চেনা সুর গুলি কানে বাজে
স্বচক্ষে দেখতে পরেন না আপনজনদের প্রাণ ভরে,  
কি আশ্চর্য মা আজও কাঁদেন নিভৃতে  
নাতির হাতে নিজ সন্তানকে নিগৃহীত  হতে দেখে।