ভোরের ঘন কুয়াশা আর নেই
সূর্যের হালকা আলো উঁকি মারছে
ঘরের চালের ফাঁক দিয়ে নিরলে।


আলোয় ঘুম ভাঙলে হত চকিত হয়ে চেয়ে আছে
দেখে শত শত আলো ঝিক মিক করছে বেড়ার ফাঁকে
বাইরে মানুষের আনাগোনা হৈচৈ চেঁচামেচি কানাকানি
ঠাহর হলো না কিছু দেখে, কিসের আস্ফালন হেথায়


চোখ কচলে উঠে দেখে
ভোরের আলো ছাড়লো দেশ যেতে কুয়াশা পানে
সূর্যের অপেক্ষায় রত মানুষ উথলে উঠেছে গানে
পূর্ণ রূপে জেগে পরখ করে চেয়ে দেখে চতুষ্পার্শ্বে
সে নেই আপন ঘরে, আছে পর্ণ কুটিরে বন্দি হয়ে
গাছ, লতা ঘাস মানুষ সব অচেনা, শুধু চেনা ছিল
অদূরে লক্ষিত মন্দিরে দেবী টা মা কালী


অনেক পরে বুঝতে পারলো  সে গৃহে নয় মন্দিরে  
যেখানে নেই নর নেই নারী, কেবল নারায়ণ আর নারায়ণী।


সে কে... আজও অচেনা না জানা অজানা
কেননা গল্পটা যে আমার বন্ধুর মুখে শুনা।