বাড়ির উঠানের আমগাছ থেকে ফাল্গুনের শেষে
প্রতিদিন ভেসে আসত;
এক বিরহী পাখির বুকফাটা আত্মবিলাপ।
আমরা শুনে কষ্ট পেতাম; মন ভরত না কুকিলের ডাকে
বলাবলি করতাম বাড়ির সদস্যরা মিলে
আহা! বেচারার বড় দুঃখ; কাকে যেন হারিয়েছে।


তারপর অনেকদিন পাইনি আর পাখিটার খোঁজ;
শুনিনি ডাক। বেমালুম ভুলে গেছি
জীবনের কষাঘাতে তার বিরহী বার্তা।


হঠাৎ একদিন চৈত্রের মায়াময় রাত্রে
হৃদে দিল উকি; পাখিটার বুলি
জানি না পাখিটা কেমন আছে? পাখিটার বিরহ আছে কি না!
না, সেই বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে!
এমনি করে কত পাখি দুঃখ জানায় আমাদের
কত পাখি চলে যায় অজান্তে
হিসাব থাকে না তার হালখাতার পাতায়।


ঐ পাখিটার মত হয়ত দেশ বসন্তে
আমার কা কা বিলাপ বন্ধ হবে;
সবার পায়ের কাটা বিলোপ করে
আমিও একদিন চলে যাবো দুরান্তের পথে
রাখবে কে খোঁজ আমায় রাখবে কে মনে?


                                        -জরীফ উদ্দীন