মনের দুঃখ বেড়ে চলে মোকসেদ আলীর
ঠোঁটের এক কোনে সিরাজ বিড়ি রেখে
দিয়াশলাই বারুতের যুদ্ধে মেতে উঠে
ঘর্ষণের আগুন বিড়ির মাথায় লাগিয়ে
খোঁজে স্বর্গ সুখ।
আহ কি সুখ টান! ডাক্তার কি আর বুঝে?
সেদিন কি কি যেন পরীক্ষা করে বলল,
ধুমপান ছাড়তে হবে। নইলে.....?
গরীব মানষের বাঁচা আর মরা!
ছেলেটা এখনো বাড়ি ফেরেনি।
কই আর যাবে হয়ত কোথাও বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে
কিংবা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
সিডিও দেখতে পারে কোনো দোকানে বসে
সিগারেটও খায় আজকাল সাথে কি কি যেন মিশিয়ে।
"এ আর কি চ্যাংড়া কালে এগল্যা ব্যাপার না!"
কয়টা বাজে এখন?
বারোটা, একটা তো হবে হয়ত।
এই মোকসেদ আলী তো আগে কি নাই করছে?
বারোটা একটা কোনো রাত হলো তার কাছে।
চৌমোহনী, ফকরের হাট, দড়িচড়, মিনাবাজার,
মধুপুর, রাজারহাট, নাগরাকূড়া নাম আর মনে পরে না
বয়সের সাথে নাম হারিয়ে গেছে তার।
এসব যায়গা থেকে রোজ রাতে
নীল, লাল, সবুজপরীর যাত্রা দেখে,
জুয়া খেলে সর্বস্ব হাড়িয়ে
বাড়ি ফিরতে ফিরতে ফজরের আজান দিত।
চিন্তায় ভাটা পরে
একটা বিড়ির আগুনে আর একটা বিড়ি ধরায়
দাঁড়ার ভূঁইয়ের কোস্টা কাটতে হবে কাল
তার আগে বিচন পারতে হবে বুদ্ধির ভিটায়
না এবার বানের পানিকে খেতে দিবে না
বড়াইএর তল, গতামাড়ার দোলা, বিলের পাড়ের ধান।
কেচের হাজরা আছে সামনের সোমবার
টানা ৭/৮ বছর থেকে চলছে কোট যাওয়া- আসা
উকিল বাবু ডাকছে টাকা নিয়ে রবিবার সন্ধায়।
"শালা বদমাইশ, টাকা খাওয়ার ফাঁনদ"
মনেমনে উকিলের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে মোকসেদ
আর একটা বিড়ি ধরায়
সিরাজ বিড়ি, সুখ টান।
ছেলেটা কই এখনো ফিরল!
এখন কয়টা বাজে? বিড়ি আছে আর কয়টা?
এক প্যাকেট বিড়িতে সকাল হয়না মোকসেদ আলীর।