মেঘ পরী আজ কেন তোমার মনটা বিষাদে নীল রং হয়েছে?
কেন তুমি অসচ্ছল মেঘলা মনের রূপ নিয়ে আছো এই ভর দুপুরে?
বড় অবহেলায় কেনই বা রাতজাগা পাখির মতো তোমার বিচরণ
কারো মনের চৌকাঠে অনেকটা মরিচিকার মতো?
তোমার এই মহাশূণ্যের নিস্তব্ধতায় একাকি পথ চলা কি কোনও দিন শেষ হবে না?
কোনও দিন কি খুঁজে নিবে না নীড়, তোমার একান্ত বাস্তুভিটা, তোমার স্বপ্ন মহল?
যেখানে থাকবে তোমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরির একান্ত বাসনার প্রতিফলন।
সেই স্বপ্ন পুরুষ।
যার কথা চিন্তা করে তরুণী বয়সের প্রারম্ভে
তোমার চোখে ঘুম আসত না, একা একা হেসে উঠতে
পরানের গহীনে ছিল কি এক মিষ্টি অনুভূতি!
তার সবটকু কি ফুরিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে অবশিষ্ট আশা?
আচ্ছা বলতো এমন টা কি হওয়ার কথা ছিল?
এই যে তোমার উদাসিনতা, ভগ্ন মনের গান গাওয়া, একা একা পথ চলা,
জীবন নিয়ে বড় বড় তত্ত্ব কথা, সন্নাসীর মিথ্যে রূপ ধারণ?
তুমি কি জানোই না তোমার কারণে কেমন আছে কারো মরা হৃদয়?
কেউ একজন চায় তার মনাকাশে ভাসো কোন রঙ্গিণ ঘুড়ি হয়ে বেলা অবেলায়।
তার চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত রেখে তার সাথে পারি দাও সহস্য প্রহর।
মেঘ পরী, তুমি ফিরে আসো তার বুকে
কিংবা তারই স্থান হউক তোমার বুকের কোঠরে একান্ত সংগোপনে।
এতটুকু অধিকার কেন হরণ কর তার, আমার
তুমি যে আমার সীমার মাঝেও অসীম।