এখন আর হয়না দেখা পূর্ণিমা-চাঁদ রাতের অন্ধকারে..
রাত’টা বড় ভারী হয়েই দুখের সুরে চেপে বসেছে ঘাড়ে!
এখন আর সয়না প্রাণে আগের মত দুঃখ-ব্যথার গান,
সুখটা যেন মাতাল বেশে ঘুরে ফিরেই দিয়েছে দুঃখে মন!
         সবই যেন জীবন পথে হাসি কান্নার ঝুলি-
                          মা-গো,
         বলনা তুমি কেমন করে তোমায় আমি ভুলি!
তোমার ছেলে ভুলেনি তোমায় দূর শহরে- রাগ করো না তুমি;
তোমার বুকে লুকিয়ে আছি পরশ মেখে ‘এইতো দেখ আমি’।
জীবন বড় নিঠুর মা-গো দেয়না কভু পাশে থাকার সিঁড়ি,
অনেক কষ্টে ভাঙতে হবে দুঃখ নামের স্বপ্ন-সাধের গিড়ি।
আসবো মা-গো তোমার কোলে দেখবে তুমি মন ভরিয়ে- জানি,
পাগল আমি পাগল তুমি; কেমন করে সামলে চলি আমি!
          সবই যেন জীবন পথে দুঃখ-ব্যথার গান,
                          মা-গো,
          বলনা তুমি কিসের খোঁজে দূর শহরে প্রাণ!


রাগ করেছে বোন আমার- দেখবে সে যে কখন দিবো ফোন!
জানেনা সে কি? তার আদরে  বড় হয়েছি- রেখে এসেছি মন।
তুমিও মা-গো বলেই দিলে- ফোন দিবেনা- ‘কখন দিবো আমি’!
এমন আশে চেয়ে রয়েছো দুখটা চেপে- সুখটা যেন দামী!
সারা দিনের কাজের শেষে একটু যবে সময় মেলে মা-গো-
তোমার কথা ভেসে বেড়ায় হৃদয় মাঝে- তুমি কি বোঝো না-গো!
তুমি আমার সারা জাহান সুখের বাতি স্বপ্ন-সুখের ভূমি,
কেমন করে হতাম বড়- যদি কখনো না’ইবা হতে তুমি!
তোমার মত বাসতো কে বা এমন ভাল ভেবে দেখেছ? হায়!
কত মায়ের সোনার শিশু পথের মাঝে গড়া-গড়ি যে খায়!
ভাগ্যিস মা-গো তাদের মত এখনো আমি হারাইনি যে সুখ!
বড় করেছো তোমার কোলে- লুকায়ে রেখে ‘তব সোনার’ মুখ।
সালাম নিও, আদর দিও- ভুলিয়ে দিও ‘সন্ধ্যা বেলার’ ব্যথা
রাগ করো না লক্ষী আমার, সময় করে বলো একটু কথা!
তোমার ছেলে কেমন মা-গো এটাই যদি আবার বলি মুখে
সাঁঝ আকাশে নামবে ঝড়- হৃদয় যেন ভরে র’বেই দুখে!
‘আমি তোমার পাগল ছেলে- একটু হলে ভুলে যাই রে সব-
ভুলিনা মা-গো ঐ সে আদর যে আদরেই মধুর কলরব’!
দুঃখ আমার থাকবে না-গো একটু যদি ফের দাও গো ছোঁয়া,
আসছি মা-গো তোমার কোলে ক’দিন পরে- করিও তুমি দোয়া।


মা-গো,
তুমি আমার জান্নাত-জাহা’ সপ্ত আকাশ পৃথ্বীর সেরা সুখ!
দেখবে তুমি- তোমার বুকে রাখবো মাথা গুজিয়ে রেখে মুখ।


(১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫#৯২০)