বিষন্নতার পাতা উল্টাতেই দেখি...
ওখানে কিছু নেংটি ইঁদুর, তেলাপোকা, টিকটিকির বাস
তবে কি আমি
এতোদিন ওদেরই চাষ করে এসেছি বারোমাস?
পানিবন্দি ঘরে থাকতে থাকতে ওদেরও এখন নাভিশ্বাস
কেউ কেউ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, আর কেউ কেউ
মৃগী রোগীর মতোন করছে হাঁসফাঁস!
আমিও কম না রাজহাঁস না হলেও পাতিহাঁস
কালের কলমে লিখে রাখছি বিষন্নতার ইতিহাস!


অতঃপর আরও কিছু পাতা উল্টাতেই দেখি...
বুভুক্ষু কিছু কুনোব্যাঙ, মশা আর মাছি
বিষন্নতার খেরোখাতাটার এখানে-সেখানে চলছে ওদের
দিগম্বর নাচানাচি; আমি হাসবো না কাঁদবো ভাবতে ভাবতেই বুলেটের মতো নাক ছিঁড়ে বেরিয়ে এলো...
একজোড়া হাঁচি!!
ভাবলাম এই লড়াইয়ে আপাতত আমি জিতে গেছি
ভাঙাশামুক অথবা মৃতপ্রায় ঝিনুক;
কে জানতো.. একটু পরেই আসল শিকারী বের আসবে
হাতে উদ্যত তীর ধনুক!!


অতঃপর আমি আরও কিছু পাতা উল্টাতেই দেখি...
রথি.. মহারতি; তার একহাতে দুরন্ত, দুর্বার চাবুক
আরেক হাতে আশা...
আমি কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞেস করলাম, কে তুমি?
দরাজ কন্ঠে সে বললো, আমি আর কেউ নই...
আমি তোমার....
আমি তোমার.....
কবিতার খাতার মতোন ছুঁড়ে ফেলা অপাংক্তেয় ভালোবাসা!!