এক জীবনে কতোকিছুই তো পেয়েছি.. কতোকিছু
আকাশ, বাতাস, মাটি, জল
রাবণের চিতার মতো চিরবিরহের অনল!


আজ আর আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই
নেই কোনো আক্ষেপ, বিক্ষেপ, ভ্রুক্ষেপ
শামুকের মতো বেছে বেছে আর দিই না পদক্ষেপ
পা কাটে কাটুক
হাত কাটে কাটুক
যতো খুশি বাড়তে পারে, বাড়ুক এ হৃদয়ের ক্ষত
আমি জানি,
চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-নিকাশ সুদূর পরাহত!


এখনো আমার...
প্রতিটি ভোরেই একটি করে জবরদস্তি সূর্য উঠে
ছাদের টবে মেকি ভালোবাসার নামি-দামি ফুল ফুটে
তবুও আলোক সভা, আমার ভাষায় ক্ষণিক প্রভা
খড়ম পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে
মহাশুন্য, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর ঠেলেটুলে
সেও সুন্দরি ময়ূরীর মতো পেখম মেলে.....
সেও চালতা পাতার আলতা রাঙা পা-য়
জিন্দেগির দাসখত থেকে মুক্তির মিছিলে যোগ দিতে চায়!


সবার মতো সেও যতিচিহ্নের খবর জানে,
তবুও অস্তিত্বের জানান দিতে কে না ভালোবাসে?
কিষাণী যেমন উঠতি ধানের শীষের দিকে তাকিয়ে
তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসে...
প্রজাপতি যেমন তারে সহাস্য প্রণতি জানায়
তেমনি.....
ভোরের সে আলো তার কপালে লালটিপ দিয়ে যায়!


আমি ভাবি, তার মতো আমার কপাল কই?
আলো কই আমার জন্য........
আমি অন্য
আমি বন্য বন্য
তবে বলো দেখি কে আমি সই
মাটির কড়াইয়ে স্নেহভাজা বিন্নি ধানের খই..?


অন্ধকার দূর্গের ভেতর আমি এখন থাকি একা একা
কেউ জানে না
কেবল জানে কবিতা
চাওয়া-পাওয়ার সাথে আমার চিরদিনই সূর্যের শত্রুতা!!