যখনই একটা সার্থক কবিতা লিখতে চেয়েছি
তখনই কোনো না কোনো অজানা ভয় এসে
আমার দু'হাত পিছমোড়া করে বেঁধে রেখেছে!
অথবা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো নখ বিস্তার করে
আমার গলা টিপে ধরতে চেয়েছে; হাত, পা, বুক,
মুখ, চোখ কাঁপতে কাঁপতে আমি তখন আছি
কি নেই....  কিছুই জানিনা!


আমি জানি আমার মতো কাপুরুষ কোনোদিন
কবি হতে পারেনা....কোনোদিন না!
যে কবির সত্য লিখতে বুকের পাটা ধুঁকধুঁক করে
যে কবি কারো রোষানলে পড়ার ভয় পায়
যে কবি জেলের ভাত খাওয়ার ভয় পায়
যে কবি বউয়ের চোখ রাঙানির ভয় পায়
যে কবির সমাজের পুটিমাছ, বোয়াল মাছ..  সবকিছুতে
এতো কাড়িকাড়ি ভয়, বস্তা বস্তা রাস্তা ভরা ভয়;
সে আর যা-ই কিছু  হোক কবি নয়!!


যে আমি স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় উপমা দিয়ে, অলংকার
দিয়ে, অনুপ্রাস দিয়ে দিবালাকের মতো জলজ্যান্ত
সত্যকে আড়াল করে দিই; সহজ, সরল বক্তব্যকে
কেবল রক্তচক্ষুর ভয়ে দুর্বোধ্য করে তুলি.....
আমি জানি, সেই কাপুরুষ আমার কবি হওয়ার
কোনো অধিকারই নেই!!


আমি এও জানি, তবুও আমার কবিতা লেখা চলবে
কিছু শখের খরিদ্দারের বাহবা ও হয়ত মিলবে...
কিন্তু সত্যকে আড়াল করা, ছাইপাঁশ দিয়ে আগুন ঢাকা
এসব কবিতা কোনোদিনই সার্বজনীন হবেনা!!