একজন আজন্ম ঋণগ্রস্ত অসহায় কবির কথা বলি
তাঁর ছেঁড়া পকেটের ভাংগা পকেট ঘড়িটার কথা বলি
যে কবি জন্মের কাছে চিরঋণী তাঁর কথা বলি
যে কবি সুবেহ সাদিকের কাছে ঋণী, তাঁব কথা বলি!


যে কবি মেঠোপথে নতোমুখে বিকারহীন হাঁটেন....
পিপঁড়ের মতোন নিরবে- নিঃশব্দে হাঁটতেই থাকেন..
হাঁটতে হাঁটতে মাটির সোঁদাগন্ধ গায়ে মাখেন
আমি সেই বাহুল্য কবির আজন্ম শব্দঋণের কথা বলি!


কবিতার জন্য যে কবি বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকেন
সজনে পাতার নগদানগদি সবুজ চোখে  মাখেন
সমাহিত জলে যে কবি প্রিয় স্বদেশের ছবি আঁকেন
আমি সেই কবির আজন্ম বাক্যঋণের কথা বলি!


যে কবি মাটিতে হাঁটতে হাঁটতে আকাশে ওড়তে থাকেন
যে কবি পদদলিত পিঁপড়ের কথা ভাবতে ভাবতে
প্রলেতারিয়াতদের কথা ভাবেন..... ভাবতেই থাকেন
যে কবি তাঁর  কবিতায় গণমানুষের মুখচ্ছবি আঁকেন
আমি সেই নিরীহ কবির অনাদায়ী ঋণের কথা বলি!
-----------------------------