কোনো ভাবনাযুক্ত না করেই বলে দেওয়া যেতো
আমার ভেজাহাতে এক নিমিষেই হতে পারতে........
একটি দায় এবং সাঁয়ের কবিতা
অতঃপর এখন... আর কোনো সম্ভাব্যতা নেই!
যে মেঘ পথিকে ছায়া দেয়
পথিক কি জানে না, সে মেঘে বজ্র লুকায়িত থাকে?
যে ব্যাঙ কুঁয়োয় বসে সাগরকে ডাকে
নির্মম মহাকাল তারও সহাস্যে বিধাঁয় বড়শি নাকে!
যে বাউলের হাতে একতারা শোভা পায়
সে বাউল কি কোনোদিন দায়হীন হতে পারে?
হতে পারে সরল দোলকের মতো সাঁয়বাজ?
যে কালাজ্বরের গোত্রহীন উঠানামা বুঝে না.....
সে তবে কিসের কবিরাজ?
তবুও আমি আজ বেবাক ভুলে.. বাক, অবাক
হতবাক....
দিনের আলোতে যে চিকামারা দেখে ভয় পায়
দ্বিচারিণী রাত্রির অন্ধকার নামতে না নামতেই
সপাটে চিকামারা তার কতোটা শোভা বাড়ায়?
তবুও একসিদ্ধ চালের ভাতের মতো চারদিকে
ওড়ে এ জীবনের ফেনা
তবুও কবিতার কাছে বাড়ছে কিছু অনাদায়ী দেনা
প্রথম জালে উঠা চাপিলা মাছের মতো আমি
জলে যার জীবন চলে
এতো লাবণ্যময় ভুপৃষ্ট তার কাছে কতোটা দামি?