তোমাদের কবিতা পড়তে পড়তে আমার কবিতাগুলো আজ প্রশ্নের সম্মুখীন... আমি
হাতুড়ি, শাবল কিংবা গোখরো সাপের মতোন লাঙলের ফনাদের কথা বলছি না..আমি বলতে চাইছি...
তোমাদের কাছে কেবলই বাড়ছে....বেড়ে যাচ্ছে আমার আজন্ম শব্দঋণ!


আমি নিজেকে কোনোদিন আরোহী ভাবিনি...
ভাবতেও পারবো না ইতিহাসের অনাগত দিন
তবুও বলতে পারো, তোমরা যারা নিজেকে আকাশ ভাবো..ভাবতে ভাবতে মই ছাড়াই মগডালে আরোহন করো..
তোমাদের কাছে এ আমার কেমন তরো শব্দঋণ?


আমি সহজাত সত্ত্বায় কবিতা লিখি, সমুদ্র সেচে সেচে তুলে আনতে চাই নাচের মুদ্রা... কিশোরীর অবরোহী, সলাজ, চঞ্চল হরিণীচোখ....যে কিনা পিতার সামান্য সামাজিক শাসনেই কেঁদেকুটে ভাসায় বুক!! শুধু এখানেই শেষ নয়  রঙতুলির সর্বশেষ আদর না পাওয়া পর্যন্ত... যার থামে না. থামতে চায় না বুকের ধুঁকধুঁক!!


জানো কবি... সেই কিশোরীই একদিন নারী হয়, নদী হয়; যোনীপথে রেখে যায় কালের স্তুতি; মনে রেখো..
পাখা হলেই উইপোকারা আগুনে দেয় আত্মাহুতি...!!


তবুও অকপটে স্বীকার করছি.. তোমাদের সবার কাছে
আমার ঋণ আছে... পথের দাবী; ভিনগাঁয়ে যে পথিক
একদিন হারিয়েছিলো পথ; সেই পথই তাকে দিয়েছিলো একটি সোনার চাবি...!!