কচুপাতার পানির হিসাব লাগে না। হিসাব ছাড়াই তার দিনলিপি চলে।
ওলকচু, মানকচু ওদেরও লবণের হিসাব না রাখলেও দিন চলে যায়।
যে তরকারিতে লবণ দেয়, তার হিসাবপত্রের দরকার আছে।
কম হলেও খাইতে সমস্য হবে। বেশি হলেও খাইতে প্রবলেম হবে।
এমনি শাঁকের করাত মানুষের জীবন নদীর সবকুল জুড়ে।


গিন্নী চাকুরী করে। মাস পেরোলেই হাত গরম থাকে। মাথাও।
ঘনঘন কয়েকদিন মার্কেটিং করে। হাতের চুলকানি দৌড়ে পলায়ন করে।
হিসাব ঠিক রাখে না। মাসের বাকি দিনগুলি তার সাথে কথা বলে না।
চুপচাপ থাকে। আাগামী মাসের পহেলা তারিখে নগদ চোখ রাখে।
টানাটানির দিন সহজে কাটে না। কতো বলি, হিসাবের দরকার আছে।
প্রয়োজনের উড়ন্ত হাত পা আছে। যে পরিকল্পনা মাফিক চলে
তার দিন ভালো যায়। অন্যের কাছে হাত পাতা থেকে বাঁচা যায়।
কে শোনে কার কথা? তবুও তার আমার দিন চলে যায়। থেমে থাকে না।


আমার বন্ধুর বউ। ভীষণ হিসাবী। পান কিনলে চুন কিনে না।
চুন কিনলে সুপারি কিনে না। বাতি জ্বলে। বাতি জ্বলে না।
আয় রোজগার যথেষ্ট ভালো আছে। তেল উপচে পড়ার সম্ভবনা আছে।
তবুও হাতের পাঁচ ছাড়ে না। কে জানে কার কাছে শোনেছে
কৃপণ মানুষ কোনোদিন মরে না। মরতে পারে না। পারে না।


জাতীয় জীবনে হিসাবের প্রয়োজন আছে। সাশ্রয়ী হবার গুরুত্ব আছে।
গেলোবার প্রয়াত রাজীব গান্ধীর মৃত্যু দিবসে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন দেখলাম।
একটি ফুলের পাঁপড়ি সবাই ভাগাভাগি করে দিলেন। সোনিয়া গান্ধী নিজেও।
তাতে রাজীব গান্ধী প্রতি তাদের শ্রদ্ধা কতোটা কমেছে?
আমার বিশ্বাস কিছুমাত্র না। বরং বেড়েছে। রাষ্ট্রীয় মিতাচার শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দিয়েছে।


আমাদের দেশে ফুলেরতোড়া কতোটা বড়ো-ছোট সে হিসাবপত্র লিখা হয়!
আমার লজ্জা বিশেষ নাই, তবুও আমার লজ্জা করে। ভীষণ লজ্জা করে।