কবি আজকাল সবকিছু বাকি চোখে ভালো দেখেন
হৃদয় কুঁরে কুঁরে নগদ বেদনা ডাকেন
মাটিতে পা না ফেলেই শূন্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটেন
     কেউ পিছু ফিরে না
সবার মতো কবিও পিছু ফিরেন না
কেবল বেদনা দিয়ে অসংবৃত বেদনা ঢেকে রাখেন!


তুলোর পেঁজার মতো চারদিকে ক্লেদাক্ত জীবনের ছায়া ওড়ে
দ্বিপদীর মতো কিছু মাছি অহর্নিশ ভনভন করে
মাঝেমাঝে কবি খেয়ালি সাপের মতো থমকে দাঁড়ান
দ্রুতগামী ঘোড়ার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমান
তখন.....
সমুদ্রের ফেনিল জলের মতো পিছমোড়া অন্ধকার হাসে
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম থেকে হৈ হৈ ভৈরব রব আসে  
তবে কি সবাই কবির মতো ক্লেদাক্ত জীবন ভালোবাসে?


কবি আকাশগঙ্গা থেকে পতিত হতে হতে দেখেন...
আতশি কাঁচের সদর দরোজায় এ কার নিয়ত প্রতিচ্ছবি
রঙছটা জিন্সের প্যান্ট পরা তিনি ভাবেন
কে আমাকে হতে বলেছে এমন হতচ্ছাড়া কবি?


একটা সময় স্বপ্নচারী কবি পৃথিবীর মুখ গলে বলতেন,
কবিদের জন্য বাজেট বরাদ্দ চাই
আকাশের নিচে যে কোনো জায়গায় একটি কবিভবন চাই
ক্লেদাক্ত জীবন কবিকে কিছুটা মাত্রা জ্ঞান দিয়েছে
ভালোবাসার কবির আজ আর কোনো চাওয়া নাই,
কোনো চাওয়া নাই.......................!!