মনে পড়ে ভেন্না পাতার ছানি ? ইলশে গুঁড়ি দিন?
কখনও ঝড়ো মাতাল হাওয়া বাড়িয়ে দিত সূর্য মনের ঋণ!
কর্দমাক্ত পিচ্ছিল উঠোন বেলার একপাশে টুনটুনি ঘর
সোনা ব্যাঙের ডাক, তার ছেড়া বাতাসে দলিত স্বপ্ন !
ছিন্ন ভিন্ন তালপাতা, পুতুল রাণীর বিমর্ষ তুলতুলে মুখ !
ডাকসই মাঠে হঠাত মাথায় মাথায় মিছে টক্কর  
শিং গজানোর অজানা আশংকায় দু'মাথার চক্কর !
অতঃপর আলতো ছোঁয়ার সবুজ শিহরণ । তোমার অধরের কোণে  
বিন্দু বিন্দু হাসি, ধুঁক ধুঁক বুক !  
আর আমার কম্পিত হাত, লাজ রাঙা গোলাপ মুখ, অন্তরের অন্তর
স্বপ্ন মুখর, মুক্ত বিহঙ্গের মত রচনা করে কল্প বাসর !


মনে পড়ে পশ্চিম বিলে শালুকের হাট ? লাল,নীল,সাদা শাপলা !
তপ্ত দুপর বেলা, ছাগল চরানোর ফাঁকে ফাঁকে পুতুল পুতুল খেলা !
তোমার অকারণ হাসি, আমার কৃত্রিম শাসানি !
ঘাসের মাথায় বিলি কাটা, দাদুর পান খাওয়ার আদলে তোমার জাবর কাটা !
আরমানের বাঁশির সুর, সারারাত জাগা বউচি ভোর !


মনে পড়ে বারেক স্যারের কোল ? আবুল, লালু, মিলার টিপ্পনী !
মাঠের এক ধারে শতবর্ষী বটের মাতৃছায়া, রাশিদ ভাইয়ের চানাচুর !
দেবেশ স্যারের কানমলা, ধানের ক্ষেতের আল গড়িয়ে ঘোড়ার বেগে চলা ?  
আমার গণিত বইয়ের ভিতর তোমার কচি হাতের প্রথম পত্র লেখা
দিন যায়, আমিও নাই, তুমিও নাই, আর কি কভু হবে দেখা ?