ঐ দেখো, ওই দিকে কেমন মেঘলা আকাশ,
কান পেতে শোনো ---  
এ মাটির বুক ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা
এক পাহাড় নিঃশ্বাস !  
আগ্নেয়গিরি সুখের ভিতর  
রাবণের চিতার ভিতর
কাল কেউটের ছোবলের ভিতর
ঘুরপাক খায় একের পর এক ধ্রুপদী পরিহাস !
তীর হারা ঢেউয়ের মতো
মাতৃহারা শিশুর মতো
জটরবিহীন বৃক্ষের মতো
আন্দামান, নিকোবরের নিঃসঙ্গ বিহঙ্গের মতো
কোথাও নেই এতোটুকু আলোর জল,  
এতোটুকু দিকপল !  
এতো যে বড় রাত, এতো মুল্যহীন(!)সবুজ প্রাণ,  
সতেজ জালি লাউয়ের ডগা,    
আদুরীদের মসৃণ ঠোঁটের বিষবৃক্ষে লালিত প্রস্রবণ!
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি, চেয়ে দেখে তরুলতা,
অকাল আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা !
শীল পাঁটায় পিষ্ট হওয়া গোল মরিচের গুঁড়ার মতো
কেবল অবাক তাকিয়ে থাকা,
যেন বুকের জমাট রুধিরে একটি মানচিত্র আঁকা !
আমি কোথায় আছি জানি না,
লতানো শিশিরের মতো হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে
উচ্ছিষ্টের মতো
কোনো এক সময়ের ডাস্টবিনে খুঁজে পাই নিজেকে,
যেখানে আমায় নিয়ে হায়েনা,
কুকুর আর শুঁকুনেরা কাড়াকাড়ি করে !
আমি বিমুঢ় পুতুল বেশে,
বারবার বিলিয়ে দেই নিজেরে,
অবশেষে  
একুরিয়ামের শান্ত জলে বন্দী মাছের মতো
বোতলের ভিতর হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকা
দৈত্যের মতো
মরুভূমির তৃষ্ণার্ত বালুকা বেলায় পতিত
এক বিন্দু বারিধারার মতো
ভুলে যাই আমার অস্তিত্ব !