বেশ ক'দিন ধরেই দেখি বাম হাতের তালুতে
অনায়স ঝুলে আছে
মেদহীন চতুর্দশী চাঁদ, আপনি বুজে আসে
দিগম্বর চোখ;
সেই চাঁদের লোভে লেজ কামড়া কামড়ি করে মরছে
কিছু শিক্ষিত কুকুর, সেই সাথে
মুষলধারে বৃষ্টির মতো অবিরাম চলছে
শ্রাব্য-অশ্রাব্য খিস্তি খেউর!
কোনো ভাবেই থামছে না বিলক্ষণ বেলা,
বানের জলের মতো তোড়ে ভেসে যাওয়া
নর্দমার অশালীন বিষোদগার!
হয়ত একদিন
আপনি জন্ম নেওয়া বিধবা কীটগুলো হায়
পচা-বাসি জল তরঙ্গে এমনি মিশে ফেনা হবে,
আকণ্ঠ তৃষ্ণায় চেটে-পুটে খাবে পাট কড়ির আঙুল!
তখন হয়ত
পাচক রস আরও বাড়িয়ে দেবে রাক্ষুসে ক্ষুধা,
অস্থির নাড়ী ভুঁড়ি পুড়ে মরবে গোঁকুল ঈর্ষার আগুনে!
কে বলতে পারে?
জীবন্ত ভিসুভিয়াস যদি আসে ফিরে
বেকুব পাকস্থলীর নীড়ে !
যদি পলায়নপর ভীতু হরিণীর মতো
লেজ গুঁটিয়ে পালায় ক্ষুধা আর তৃষ্ণা,
বেমালুম ভুলে যায় এতোদিনের আলসার;
তখন কী হবে?
যদিও আপাতঃ কোনো সম্ভবনা নেই! সে মরেছে!
কে জানি এসে বলে গেল পথের ধুলো
আসলে ক্ষতগুলো সারানোর নয়, কঠিন ব্যাপার,
ঝাড় ফুঁকের ঊর্ধ্বে হাস্যকর ক্যান্সার !!!