দুর্বৃত্তের কারাগার ভেঙ্গে তোমাকে পাওয়ার প্রবল উচ্ছ্বাসে
নির্ঘুম কাটিয়ে দেই কত রাত
সাগরের উন্মত্ত জোয়ারের মত ভাসি আনন্দ স্রোতে
কত আশা ছিল, ভালবাসা ছিল
স্বাধীনতার সুখ টুকু নিঃশ্বাসে জড়িয়ে নেব বলে; অথচ এখন


বিশাল বাংলার কোন এক রেলস্টেশনের
ছাদ বিহীন যাত্রী ছাউনির নিচে
দাঁড়িয়ে গুনছি অপেক্ষার প্রহর
সেই একাত্তরে ছুটে চলা
দুরন্ত রেলগাড়িটির জন্যে ! সে আসবে, অবশ্যই আসবে ! স্বাধীনতার ঝাঁপি হাতে নিয়ে !
আমি দুহাত ভরে কুঁড়িয়ে নেব মুঠো মুঠো স্বাধীনতা !
নির্ভীক হাঁটব পথ, যেমন খুশী লিখব কবিতা !


যাত্রীরা তোমার রাত্রি শেষে শুকতারার দিকে চেয়ে
তুমি আসবে ! কখন আসবে ? মণ্ডা মিঠাই নিয়ে !
গুটি কয়েক ভিক্ষুক, হকার আর কিছু নেড়ি কুকুর
পাশের চায়ের স্টলে, রেল লাইনের স্লিপারের উপরে
নির্ঘুম চোখে অবাক তাকিয়ে আছে !


কালবেলা পেরিয়েছি সগৌরবে, মহাকালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে
বাহান্ন থেকে ঊনসত্তর, অতঃপর মহা গৌরবের একাত্তর
সেই সাথে হাঁটি হাঁটি পা পা
এখন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে শ্লোগান মুখর ।


স্বাধীনতা তুমি কি এখনও অনেক দূর ?
আর কয়টি স্টেশন বাকি ? কখন দেখব সোনালি ভোর ?