এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি সন্ধ্যা অবধি, আশে পাশে কুয়াশার
ঘাতক ফোঁটা; রাত্রির পথ ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে
শবের মিছিলে কিসের যেন শোরগোল শুনা যাচ্ছে !
কাদা জলে জড়াজড়ি পিচ্ছিল পা
কখনও গড়াগড়ি, লজ্জাবতীর মত দু'চোখের পাতাও স্পর্শ কাতরতায়
একটানা চেয়ে আছে মাটির দিকে
কখন সমান্তরাল রেললাইন মিলবে কোন এক ফ্ল্যাটফরমে !


কখন বধির কর্ণ কুহরে ঢুকবে আজব বাঁশির হুইসেল!
বুলেট বিদ্ধ লাশ গুলি জেগে উঠবে!
মার্চফার্স্ট করতে করতে সারিবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যাবে
বকুল তলায়, ঝাউ বনে।
রাস্তার উপর সটান শুয়ে আছে বেওয়ারিশ গাছের গুঁড়ি।


এই রাত কবে শেষ হবে; নেমে আসবে স্বর্গ থেকে ভোরের হাওয়া
জিবনদায়ী অক্সিজেনের কোমল ছোঁয়ায় বেঁচে যাবে জিনপরী !
অতঃপর ফুটপাতে আবার বসবে হকারের বেসাতি,
সত্য-মিথ্যার ইট পাথর ।
ঘুঁট ঘুঁটে অন্ধকারে তেলাপোকা গুলো বেজায় খুশি
আবার দশ হাত ভরে গলধঃকরণ করবে দেবীর প্রসাদ!


আমিও তেমনি দু'চোখ করে তাকিয়ে থাকব
নিঃশব্দ চিলে কোঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখব
অন্ধকার রজনীর প্রহরের পর প্রহরের আসা-যাওয়া
তবু প্রতীক্ষার সীসা ঢালা প্রাচীরে বাঁধব বুক
কখন ভোর হবে ? কখন ----------?  
আর কতো হাজার বছর পরে --------------??