গ্যালাক্সি, ছায়াপথে বন্ধুর পথ চলেছি প্রহরের পর প্রহর
গভীর পদ চিহ্ন এঁকে দিয়েছি নক্ষত্রের পর নক্ষত্রের ঊষর ভূমিতে
উৎসুক দৃষ্টি হন্যে হয়ে অনন্তর খুঁজে ফিরেছে তোমাকে
লুব্দকের অহংকারী তপ্ত নিঃশ্বাসে, অশান্তির আগুনে পুড়ে
নিয়নের আলোর মিছিল মিটিমিটি জ্বলে আর নিবে !


আচানক নেমে আসি পৃথিবীর রথে
সবুজ শ্যামলের মায়ায় হারিয়ে যাই বনে বাদাড়ে
চপলা হরিণীর কাঁচা মাংসের গন্ধে ব্যাঘ্রের লোলুপ দৃষ্টি
হায়েনার ভয়ে বদলে যাওয়া অতিকায় মোষের মুখের মানচিত্র
আমার চৈতন্যের মাত্রায় এঁকে দেয় নতুন যতি চিহ্ন !


অতঃপর ঊর্ধ্ব শ্বাসে পালিয়ে যাই অথৈ সাগরের তলদেশে
আবার তোমাকে খুঁজতে শুরু করি নতুন উদ্যমে
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি মাৎস্যনায়ের মহা উৎসব
ঘুম ভাঙার আগেই অনেকে নিজেকে আবিষ্কার করে
তিমি কিংবা হাঙরের নিরাপদ পাকস্থলীতে !


তারপর কেটে যায় নেশার ঘোর ,
ফিরে আসি নানা রঙ মানুষের দুয়ারে
হাটে-বাজারে, শহরে-বন্দরে শুনতে পাই উইপোকার মাতম,
আমার দম বন্ধ হয়ে আসে!
রাজনীতির মঞ্চ থেকে ফুটপাতের ক্যানভাসার পর্যন্ত
সর্বত্রই  কেবল শুনি গরলের জয়ধ্বনি;
ঘৃণায়, তৃষ্ণায়, অবসাদে লুটিয়ে পড়ি,
কোনো এক কাঠকুড়ানির দরজায়,
দেখি মা আমার একঘটি জল হস্তে দাঁড়িয়ে আছেন!!!