ধানের ক্ষেতে সূর্যের গান, দখিণা বাতাসের রংতুলি
গোটা গোটা সতেজ শীষের অবাধ উল্লাস ধ্বনি
মাজরা পোকার চোখ মারা চোখ করে চুক চুক
বিন্দু বিন্দু ঈর্ষার জল মহা সিন্ধুর বুকে রচনা করে
ধ্বংসের কবর। ছাই চাপা আগুনের মত দিক্বিদিকই জ্বলে
পাথর সভ্যতা, কেঁদে কেঁদে হয়রান হয় আঁধার যামিনী
আলো ফুটবে ? কবে ফুটবে ?
সোনালি ভোরে আলোক স্নান হবে আদিম পাপাত্মার !
চেয়ে আছি হাজার বছর ধরে অনিমেষ আঁখি মেলে !
সর্প দংশনে, বিষে জর্জরিত মন কাণ্ডারি ওঝার পথ গুনে
নিঃশ্বাসে বেরোয় বিষাক্ত লালা
অবচেতন আর চেতন হিমাদ্রি সংশয় যুগলে কাতার বন্দী
চলো গঙ্গা জলে ভিজাই মন
শুচি হোক কালনিশির, অঝোর ধারায় নিবে যাক দাবানল
সংসার সংগমে জ্বেলে দেই নতুন প্রদীপ
আপন মাধুরীতে রাঙিয়ে তুলি মন পাহাড়ের এভারেস্টের চূড়া
চাঁদের জোসনা মাখি হাতে
কলঙ্ক সেথা থাক পড়ে থাক চাঁদে !
জুঁই লতার সাফল্যের সিঁড়ি পথে বিছিয়ে দেই লাল গালিচা
ছিটিয়ে দেই কুঁড়িয়ে পাওয়া নীল কমলের পাপড়ি !!