বিরাশি বসন্ত পার হলো এখনও আমি সবুজ
তোর দাদীর চোখে চোখ পড়লে আজও আমি অবুঝ ।
বুকের সরস জমিনে সবুজ ঘাসের ফুল গুলি হাসে
বাড়িতে বাড়িতে ঝোপ ঝাড় ; শুধুই স্মৃতির ক্যানভাসে ।
গরুর পাল লয়ে সারাটি দিন মাঠে, ফিরতাম সন্ধ্যা বেলা
তিড়িং বিড়িং নাচত বাছুর - করত ছুটাছুটি খেলা ।
মাথার উপর ঘাসের বোঝা ; পথ পানে চেয়ে তোর বাবা
উঠোন ভরে লাগিয়েছি কত গাছ - তোরা খেলছিস দাবা।
শুকনো পাতার লাকড়ি দিয়ে রাঁধা ভাতের সেকি মজা
শাপলা শালুক কোথায় গেল ; তোরা দেখিস রাজা গজা ।
সারা গাঁও বেড়াই খুঁজে , পাইনে কোথাও কলা পাতা
সবার বাগান ভরা ছিল জাম, জামরুল, কদবেল, আতা ।
সবুজ ঘাসের মতই কোমল ছিল মানুষের টুনটুনি মন
হাতে হাত ধরি, গলাগলি করি, সুখে দুঃখে থাকত আপন ।
বিকেলে আড্ডা দিতাম,রেইনট্রি তলায় ঘাসের উপর বসে
বিষাদ সিন্ধু শোনার জন্যে ছেলে বুড়ো যোগ দিত এসে ।
লেটুস পাতা, বেত ফল, ডেউয়ারা হারিয়ে গেছে হায়
তোদের মুখে সবুজের জন্যে মায়া-কান্না কী শোভা পায় ?
দাও ফিরিয়ে সবুজ অরণ্য ; দাও ভুতুড়ে বন - বনানী
গাছ কাটা কসাই মরুক ভাগাড়ে ; যে কন্যার নাম রাখে অরণ্যানী !