সেদিন উত্তুরে বাতাসের এক মধ্য দুপুরে
কৃষ্ণচূড়াকে জিজ্ঞেস করি,
এত লাল তুমি কোথায় পেলে ? লাল কোর্তাটা বেশ তো মানিয়েছে তোমাকে !
এক চিলতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা বেসুরে সে জানান দেয়,
অর্বাচীন, তুমি শহীদের লাল রক্ত চোখে দেখনি ?
লজ্জায় আমি কাক বদনী; মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিই !
প্রগতির স্রোতে নিরন্তর ছুটে চলা আমি
নিজের অজান্তেই মাকে মাম্মি আর
বাবাকে ড্যাডি বলে ডাকি, আর
আমার গর্বিত বাবা-মায়ের মনেও সুশীতল শান্তির পরশ বুলিয়ে দেই !
মহা উৎসাহে ময়না পাখির মত
ভাঙ্গা চোরা হিন্দি, আরবি আর ফারসির যোগান দেই
সহজেই পেয়ে যাই পণ্ডিত খ্যাতি
আমার বলা, আমার চলা নতুন মাত্রা পায়
ঘণ্টার মত গলায় ঝুলাই বহু ভাষাবিদের মণিহার !
অবহেলে ভুলে যাই মায়ের মমতা মাখা রাত বিরাত
মধুর চেয়েও কত মধুর দোয়েলের মিষ্টি বাংলা শিস !
অনবরত তোমার কোলে, তোমার বোলে-----
মা---- ডাকের এক সাগর গভীরতা !
দিন-রাত সমান হয়, শূন্যে সুউচ্চ মিনার হয় আর
ভিতরে একদম ফাঁকা !  কাঁদে মাটির স্লেটে আঁকা বিবর্ণ বর্ণমালা !
আমি রক্ত ঝরা চোখে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকি --- !!