ধরণীর যত রঙ সবই দিয়েছিলো সখিনার বাপ
আমিও নিয়েছিলাম অঞ্জলি ভরে ; অতঃপর
কৃষ্ণ মেঘে ছেয়ে যায় আমার আকাশ, কোন এক
অভিশপ্ত কাল বৈশাখী ঝড়ে মুছে যায় আমার সব রঙ
আমি হয়ে যাই মার্কারের আঁচড় বিহীন হোয়াইট বোর্ড !


পাগলিনী আমি ; দুয়ারে দুয়ারে ঘুরি, অতঃপর
কিছুটা ফিরে পাই নিজেকে , ভিক্ষার থলে ঝুলাই কাঁধে
সারাদিন রঙ মাগি ; কেউ দেয় না ভিখ
উন্মাদিনীর মত ছুটে যাই রামধনুর কাছে ; বলি ,
হে সাতটি রঙের অধীশ্বরী , আমায় দাও না একটি রঙ !
রামধনু অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয় মুখ , হাসে অট্রহাসি !


অতঃপর ছুটে যাই রঙিন প্রজাপতির কাছে
বাড়িয়ে দেই ভয় আর না পাওয়ার বেদনায় ক্লিষ্ট দু হাত
প্রজাপতি উড়ে উড়ে চলে যায় বহু দূরে ; বলে,
আমার তো সময় নাই ! আবার সামনে বাড়াই পা
খুঁজে খুঁজে রঙ মাগি নতুন নতুন মহাজনে ।


এখনও কোথাও পাইনি খুঁজে এতটুকু রঙের মাধুরী
এখনও আমি রোদে ভিজি সারাদিন
আর আমার কষ্টেরা পুড়ে মরে শুভ্র বসনে ।।