আধা পাকা শশ্রু মুখে,আরশিতে দেখি দুরন্ত কিশোর বেলা
জীবন নদীর বালুচরে,ভাঙিছে গড়িছে কত না পুতুল খেলা !
চিমটি কাটার দিন যে গেল, গেল বউচি রাঙা ভোর
ক্রিকেট খেলায় হারিয়ে গেল, দাদুর মোহন বাঁশির সুর !
হারিয়ে গেছে নিশিত রাইতে, পাকা আম কুড়ানোর সুখ
ধানের ক্ষেতের আল গড়িয়ে, তোমার বিজলি আঁকা মুখ !
লাউয়ের কচি ডগার মত, তোমার কচি মুখের মায়া
আমার মনের উপর পড়েছে, যার দীঘল কেশের ছায়া !
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে, তূলতে যেতাম একটি বকুল ফুল
আধো লাজে তোমার কানে, পরিয়ে দিতাম গজ মোতির দুল !
আটই ফাগুন প্রভাত ফেরি, নাইকো চোখে এক রত্তি ঘুম
সারারাতই চলত মোদের, নানা রঙের ফুল চুরির ধুম !
স্কুলের পড়া ফাঁকি দিতাম, গোল্লাছুট খেলতে যেতাম মাঠে
এক সাথে নাইতে যেতাম, রাজবাড়ির শান বাঁধানো ঘাটে !
বারেক স্যারের জালি বেত আর অংক পরীক্ষার ভয়
ডুবের পরে ডুব দিতাম, একটু যদি সর্দি জ্বর হয় !
আমার হাতে থাকত লাটাই, তোমার হাতে থাকত ঘুড়ি
এরই মাঝে কখন জানি, গেল তোমার টুনটুনি মন চুরি !
এমনি করে বেলা গেল, এখন কোথায় আছি আমি
কার ঘরের সন্ধ্যা প্রদীপ, আজি জ্বালিয়ে দাও গো তুমি !