আমার তাপিত হৃদয়ের
দৃষ্টি সীমা যত দূর পায় গন গনে রোদ্দুর
মনের নদী যত দূর গড়ায় পানি, আমি জানি
তত দূরেই তুমি, পা থেকে মাথা অবধি
বুকের পাঁজরের আল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, অন্ধ নও, বধির নও
সর্বভুক সব্যসাচী ।


কোনদিন আমি খুজিনি তোমার পোতাশ্রয়
তুমি কে ? আমি কে ? কোন সুতোয় বাঁধা, হে ঈর্ষা মহাশয় ?
ধমনীর তারে তারে, কে যেন হুংকার ছাড়ে
হাইব্রিড বীজ বুনে হৃদয়ের কাঁটা তারে
বিবেক বোধের মহী সোপান দেই জলাঞ্জলি, আলগোছে
তুলে রাখি লাল কোর্তার শূন্য পকেটে ।


সুরা আর সাকীতে মসৃণ পথ খুঁজে নিই
মস্তিষ্কের ক্লিশে গুলি আগাছার মত উপড়ে ফেলি
মহাকালের ক্ষণিক আশ্রয়ে ভুলে যাই তোমাকে
সাধুর লেবাসে গাই মানবাত্মার জয়গান, অতঃপর
মুখ ভরে বমি করি, পাকস্থলী নিংড়ে উগড়ে দেই সকল পরিতাপ ।


আবার কাক ডাকা ভোরে মহা বিস্ময়ে চেয়ে দেখি
যেই আমি সেই আমি, তুমি আমার সব কিছু জুড়ে
জীবনের সকল দেনা-পাওনা আগের মতই আছে
ক্ষণ কালের বিরহী নব উদ্যমে তোমায় ডাকে কাছে ।।