শুনে রাখো অভাগী মাগো আমার
তোমার নাড়ীর টান আর এ মাটির ডাক
এক সুতোয় গাঁথা, আমার অবচেতন মন কালপুরুষের মত জেগে উঠে
সাগর, পাহাড়, মরু কাঁপিয়ে ছুটে চলে আমার বলগা হীন ঘোড়া
সাথী হয় ধূলির ঝড়, দুরন্ত বেগের পতনোন্মুখ উল্কা
তপ্ত কড়াইয়ে ফুটন্ত খইয়ের মত উন্মত্ত ঢেউয়ের বেপরোয়া নিঃশ্বাস
কামান চোখের নিক্ষিপ্ত প্রতিটি শেল
বিক্ষিপ্ত আরশোলার হৃদপিণ্ড এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে দেয়
পঙ্গপালের মত শুরু হয় দিকবেদিক ছুটাছুটি
কাতারে কাতারে যতি চিহ্ন তোমার মৃত্তিকায় আঁকা
চাঁদনী পসর রাতে উছলায় হিয়া, বনেদী অন্তরাত্মা বন্দী কয়েদখানা
আমি গুনে গুনে শেষ করতে পারি না
বারুদ মন আরও বেশি উচাটন, নির্গত লাভা রশ্মি
ধেয়ে ধেয়ে যায় উইপোকার পাখনা তাক করে
ধূর্ত শিয়ালের মত লেজ পিঠে তুলে দৌড়ায় প্রাণ ভয়ে
আলগোছে টান দেই বড়শির ছিপ
পায়ের তলায় করজোড়ে গড়াগড়ি খায় রাঘব বোয়াল
কড়ায় গণ্ডায় হিসাব বুঝে নিই
সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, ঊনসত্তর থেকে একাত্তর
অক্ষয় ইতিহাস লেখা হয় আকশের গায়
বেঈমান দোসরের নিঃশ্বাসে ভারী হয় তোমার বাতাস !
আমি ঘৃণায়, লজ্জায় কুঞ্চিত মুখ লুকানোর ঘোমটা খুঁজি !