ও মেয়ে, যে রুপে তোমাতে মজে ছিল চাঁদ
সে রুপ তোমার কই গো ?
তোমার ভেজা কুন্তলেরই গহীন বনে
জোনাক বাতি আর বুঝি নাই গো !
তোমার সিঁথিতে তালের নৌকা বেয়ে মাঝি পাল উড়িয়ে যেত
তোমার আঁখির মঞ্জুরিতে কত মধুকর মধু খেত !
তোমার নাকের বাঁশিতে তোলা সুরের মূর্ছনায়
দোয়েল, শ্যামা, চাতক চাতকীরা প্রেমে পাগল হয়ে যায় !
তোমার পেলব হাতের স্পর্শ পেয়ে নবজাতক জেগে উঠে
তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাসের মিষ্টি ছোঁয়ায় আঁধার যেত টুটে !
তোমার দেহের ভাঁজে যখন জোসনা ভেঙে পড়ে
উঠতি কিশোর প্রেমের খেলায় সূর্যের সাথে লড়ে !
এখন তোমার বুকের গাঙে জেগে উঠা বালুচরে
পাগল প্রেমিক ক্ষণে ক্ষণে হোঁচট খেয়ে খেয়ে পড়ে !
তোমার রাঙা পায়ের পরশে যে ঘাস লতারা  হাসত
আধেক রাতেও দিনের মত আলোর খেলায় ভাসত !
তোমার কথা মনে হলেই আমি কবি হয়ে যেতাম
তোমার রুপের মাধুরিতে মায়ের পরশ পেতাম !
এখন তুমি অকাল বুড়ো মুঠিয়ে গেছ বেশ
তবু তুমিই আমার প্রথম প্রেম, তুমিই আমার শেষ !!