জটিল কুটিল পথে ঢুকে যাই তোমার রথে, নাসারন্ধ্র
কিংবা পায়ু আমার জন্য কঠিন পুলসেরাত নয়
রক্ত কণিকায় মিশে যাই অবলীলায়
তোমার হাঁড়ির খবর পৌঁছে দেই মস্তিষ্কের নিউরনে
সরল চোখের দৃষ্টি জুড়ে এঁকে দেই গরলের টোপ
আকাশ মন নিমিষেই জড়ায় গায়ে সংকীর্ণতার সুখ
শুরু হয় গুরু দক্ষিণা
সাদা রঙ কালো হয়, নীল আকাশ লাল হয়
বন্দরের ঘাটে ঘাটে চেনা মানুষ পর হয়,
অচিন মানুষ আপন হয়
মনের বাগানে ভুলের ফুল ফুটে
চাঁদের কলঙ্ক চাঁদিমায় ঢাকে
পূর্ণ গ্রাস গ্রহণেও সূর্য্যি উঠে
বাতায়নে ক্ষণিক দেখা মেলে আলেয়ার আলো
ফোকলা দাঁতে মরীচিকা হাসে পানসে হাসি
সপ্ত ডিঙা উড়ায় বিজয়ের কেতন;
আমার সুপ্ত চেতন খসে খসে পড়ে
মত্ত হাতির মতন পৈশাচিক খেলায় মেতে উঠি
মানুষ নামের মানুষ নিয়ে ইঁদুর বিড়াল লুকোচুরি
আদিম অসভ্যতার রাজতান্ত্রিক ঘেরা টোপে
বন্য পশুর সাথে একই সারিতে দাঁড়ায় মানুষ
আমার ইবলিশ হাত তালি বাঁজায় অলক্ষ্যে থেকে ।।