যেমন দাঁড়িয়েছিলাম আঁধারের গা ঘেঁষে, এখনো আছি তেমনি
দুহাজার বছর আগের পরিত্যাক্ত দালান ঘরে
আমার সাথে আছে ছায়া শরীর, অন্ধকারের প্রেতাত্মা
স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে, শ্যাওলা ধরা ইট পাথর
উইপোকা বোধ আর অফুরন্ত একঘেয়ে যাযাবর বেলা!
সব ঝুঁট হ্যাঁয়, সব ঝুঁট হ্যাঁয়, হাঁকতে হাঁকতে
মাঝে মধ্যে কে যেন বিজলি চমক এঁকে দিয়ে যায়!
ধূপছায়া সিন্ধু লাশের গায় !
কেঁপে উঠে দুঃস্বপ্নের চোরাবালি, মৃত রাত
কেউ বলতে পারে না
কোনদিন, কখন, আবার জাগবে আলোর প্রভাত!
কামুক মন
অন্ধকারের রোদেলা স্পর্শে কখনও জেগে উঠে, আড়মোড়া ভাঙে
মাতাল পশুর মত
অতঃপর কলির নামতার পাঠ মুখস্ত করে বেভুলা রাত!