সরল বিশ্বাসে মঙ্গলে ঘর বেঁধেছিলাম
আর মঙ্গলের লাল মাটি পরম সুখে অঙ্গে মেখেছিলাম
অপরূপ সাজে সাজিয়ে ছিলাম পোকা মাকড়ের ঘর বসতি
জটর ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছিল সুখের রেনু
ঘুম পাড়ানি গানে ছনমনে মন আরশিতে দেখে দেবীর প্রতিবিম্ব
অক্টোপাসের মত জড়িয়ে তারে এঁকেছিলাম একের পর এক প্রতিমা !


হঠাত কোথা থেকে আবির্ভূত হয় নীল নয়না নাগিনী
ফোঁস ফোঁস শব্দে গভীর রাতের নিস্তব্দতায় যোগ হয় নতুন বিভীষিকা
মাকাল ফলের মাধুরী মিশিয়ে সৃষ্টি করে রূপের ইন্দ্রজাল
তারস্বরে চিৎকার করে জানান দেয় বাহুল্য অধিকার
নেড়ি কুত্তার মত ঘুর ঘুর করে চাঁদের পিছু পিছু
আর চাঁদ ডাকিনীর মায়ায় মন্ত্র মুগ্ধের মত স্বপ্ন বুনে নতুন পৃথিবীর !


দিনে দিনে যায় বেলা, শুরু হয় প্রমত্তা পদ্মার ভাঙনের খেলা
ভালবাসার বন পুড়ে ছাই হয় দাবানলে, দীর্ঘ খরায় ফেটে চৌচির হয়
সাধের আবাদী জমিন; সিমেন্ট বালির শক্ত প্রলেপেও মুছতে পারিনি
একটু একটু করে বেড়ে উঠা ফাটলের ক্ষত; আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি
ঠুনকো কাঁচের মত ভেঙে যাওয়া এতদিনের সাজানো সুকেস !


পথের মাঝেই হারাই পথ, ভেঙে চুরমার হওয়া বিশ্বাসের ভিতে
জন্ম নেয় নতুন শপথ ! মাজরা পোকা কামড়ায় কুট কুট করে
নুহের তরী আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক টুকরো খড় কুটোর সন্ধানে !!