এমনি এক পানকৌড়ি শ্রাবণ সন্ধ্যা বেলায়
আমি
তুমি
আর কৃষ্ণচূড়া,
এক আকাশের তিন চাঁদ
বোধ্য, দুর্বোধ্য, অবোধ্য !


আমি
কোনো এক সরল সরলরেখা, কোন রাখ ঢাক না করেই  
সেদিন নির্জন কৃষ্ণচূড়া তলে দুহাত বাড়িয়ে  
তোমাকে বলেছিলাম, এই নাও তোমাকে দিলাম,  
পারো তো একটু শক্ত করে ধরে রাখো ।  
সাক্ষী ছিল সদ্য অস্তাগামী সবিতা  
ক্রমিক নং এক
আর আমার মনের ভিতরে আকুলি-বিকুলি করা
দু চার চরণ ভুঁইফোঁড় কবিতা
না বলা কিছু শ্রাব্য অশ্রাব্য কথা
আর
এই কনকনে শীতের মাঝেও আমার ললাটের মাঠে
জমাট কয়েক ফোঁটা গোটা গোটা শিশির বিন্দু !


একটি শিরোনামহীন বৃষ্টি স্নাত পাখি
আমার কথায় সায় দিয়েছিল
নিরবে সব শুনছিল ভদ্র বাতাস
তুমি কিছুই বললে না,
এক বিঘত সময় আমার ঘর পোড়া মুখের দিকে
তাকিয়ে থেকে
অতঃপর
নিরব প্রস্থান নিলে
এই ভরা শ্রাবণে আমাকে ভিজিয়ে দিতে পারলে না!


এক সময় থেমে এল মুষলধারা
আমি তখনও ঠিক সেই আগের মতোই দাঁড়িয়ে
আর
আমার সাথে দাঁড়িয়ে আছে নির্বাক কৃষ্ণচূড়া
আমি কোন কথা বলছি না
কৃষ্ণচূড়া সেও কোন কথা বলছে না
এমনি করে কখন পেরিয়ে গেল এক কল্প বছর
আমরা কেউ টের পাইনি
দুজনেই নিরবে-নিভৃতে গুনে চলেছি অপেক্ষার কাল প্রহর !!


                 (বরষার আয়োজনে )