জন্মের প্রথম প্রহরেই
আমার বুকের ভিতর জন্ম নিয়েছিলে আরেক তুমি
সেই আমিও তখন কচি ঘাস
সহসাই
আমার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল এক পূর্ণিমা শশী
অতঃপর
কত দোলনা দুপুর
রেশম হামাগুড়ি
ধুমকেতু স্কুল বেলা
স্বর্গের সুখ বাতি এনে দিয়েছিল
ভাঙা হাতের লেখা প্রথম ভাঙা ভাঙা চিঠি
অতঃপর
মাতাল পদ্মার খামখেয়ালিতে ভেঙে গেল সব,সব  
পুতুলের বিয়ে
সজনে পাতার টুনটুনি ঘর
জোসনা ভেজা বউচি রাত
সেই যে গেল, আর ফিরে এলো না
এখনও আমি
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিতৃ তাল গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে
অপলকে দেখি
বেত ফলের ঝোপ  
সাপের খোলস
ডাহুকের পদচিহ্ন
সব কিছু আছে অনেকটা আগের মত
শুধু
তুমি নেই
জ্বর বেলায় আমার আগুন কপালে
তোমার কোমল হাতের স্পর্শ নেই
নেই ---
নেই---!!