কাল গিয়েছিলাম এক জলাঙ্গীর কামুক শীতলপাটির
তারছেঁড়া উষ্ণ হিমঘরে  
চোরা চোখের সামনে কাঁপছিল কিছু পুরাতন নক্ষত্র  
ডাক্তার বাবুর কসাই হাত
একহারা গড়নের এক শুভ্র একাংকিকা
পাখির নীড়ের মত বনলতা চোখ জ্যান্ত পেয়ে
মুহূর্তেই উবে গেল আমার রাজ্যের যত দুঃচিন্তা
ঢক ঢক করে গিলছিলাম সেই সাগরের অথৈ
বারিরাশি!
আহা! কী দুর্ভেদ্য গভীরতা।
এক পলক
আরেক পলক
অতঃপর
আরেক ---
এইভাবেই কিছুক্ষণ কেটে গেল কালবেলা  
জানি না কখন চোখের ভিতর জেগে উঠল চোখ
মঞ্চস্থ হল এ শতাব্দীর সেরা নাটিকা
নিচু মাথা,  দু’ অধরের কোণে খেলে গেল আসমানি ঢেউ
আর
সেই তরঙ্গের ছাঁচ মুহূর্তেই
ছোঁয়াচে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ল
আমার লতানো শিরা-উপশিরায়
অতঃপর
আর কিছুই জানা নেই আমার
ক্ষণেক পরে নকশী কাঁথার বুকের উপর
সুঁই, সুতো আর তুলোর আঁচড়  
একটু একটু টের পাচ্ছিলাম
সহসাই এক সাগর শত সহস্র সাগরের রূপ নিয়ে
শত জনমের চাওয়া পাওয়া --
সব, সব এক বিন্দুতে মিলে গেল  
বুকের সমস্ত শক্তি ও সাহস একত্র করে
দু’চোখের পাতা মেলে দিলাম
একটু একটু করে চোখের মণি চারপাশে ঘুরিয়ে মারলাম
না, নেই
কোথাও কেউ নেই  
আমার সেই আজন্ম লালিত সাগর
হয়ত
সুতিয়াখলির মত কোন সরু নদীতে মিশে গেছে!!