এক শ্রাবণ বরিষণে বুকের ভাঙা ক্ষত গুলোতে
হাত বুলাচ্ছিলাম
বাদলের বড় বড় ফোঁটা অর্জুনের তূণের মত
আঘাত করছিল
অবশ্য এ নিয়ে এই সর্বংসহা পতিত হৃদয়ে
খুব একটা অনুতাপ, পরিতাপ কিছুই ছিল না
তখন সবে দিনমণি অস্ত গিয়াছে
তখনও অমানিশায় ছেয়ে যায়নি দিনের কুন্তল
এমনি এক শনির তিথিতে
কোন এক আকাশ থেকে নেমে এসেছিল এক
ষোড়শী চাঁদ
চঞ্চল বিন্দু বিন্দু মুক্তো জল
প্রজাপতি পদ ভার
দিয়েছিল তাঁরে স্বর্গের অপ্সরীর ঠিকানা  
আমি বিমুগ্ধ চিত্তে অপলক তাকিয়েছিলাম
পিছু পিছু আসছিল কিছু দেশি নেড়ি কুকুর
আর খিস্তি খেউর
আমি কিছু বলতে পারছিলাম না
জরিনাদের ভূতুড়ে পুকুর ধারের আরশোলা জংগলের
কাছে আসতেই
নিরীহ চাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়েনার দল  
এক-দুই-তিন-চার-পাঁচ
অতঃপর
শুরু হয় ইঁদুর বিড়াল খেলা
নিমিষেই আর্ত শীতকারে কুমারীত্ব হারায় চাঁদ
পালাক্রমে ফিরে ফিরে আসে রাবণের চিতা
ভাঙা কাঁচের মত পড়ে থাকে প্রাণহীন চাঁদ
আর
আমি থেকেও নেই
নেই
শুধু
এখনও কাঁদায় সেই কুহেলিকা রাত!!