সেদিনের সেই কালরাতে একটা ভ্যাঁপসা গরম
নিরাক পড়া আকাশ
আর
সবুজ পাতাদের ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাসে ভারী হচ্ছিল  
ভোরের আদুরী বাতাস
চাঁদ আগেই ঘুমিয়ে ছিল  
সপ্তসুর পেরিয়ে তখন অষ্টপ্রহর
কিছুক্ষণ পরেই জেগে উঠবে বিহঙ্গের কাকলি
মুয়াজ্জিনের সুমধুর সুর  
আমার বুকের খালি জমিনে বেঘোরে ঘুমাচ্ছিল
এক মনসা দেবীর সহচর
ক্লান্ত প্রাণে সব দেখে যাই আমি এক
চির নিরব নিশাচর
মহাকালের কত-- দৈব দুর্বিপাকের অসহায় রাজসাক্ষী
এমনি এক কুক্ষণে
হাতে আশা
রুদ্রাক্ষের মালা গলে গম্ভীর পদভারে হেঁটে আসছিল
এক তাপস কুলশিরোমণি
ঊর্ধ্বাকাশে জারি ছিল নিমীলিত আঁখিপাত
এক পা
দুই পা করে
নিজের অজান্তেই বাড়ায় পা
হঠাত বাবার আর্ত চিতকারে কেঁদে উঠে
ধরণীর বাপ
সর্প দংশন বিষে জর্জরিত নীল বাবার দিকে
আমি কোন মতেই তাকাতে পারছিলাম না
কেবল
দু”চোখ বেঁয়ে গড়িয়ে পড়ছিল
টিপ টিপ জল!!