যে ক্ষণে ভেবেছিলাম একটি সার্থক কবিতা লিখব
সেই ক্ষণে আচানক নেমে আসা জলের তোড়ে ভেসে গেল
শব্দের ঘুলঘুলি
আধেক রাত এক হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েছিলাম আমি
কিছু দেশি প্রজাতির নিরুদ্দেশ জলজ
এক বন্ধু নেউল
আর
একটি বড় অসহায় কাল কেউটে!
কোন বিবাদ নেই
কোন বিসংবাদ নেই
বানের জলের মত
একই সুতোয় গাঁথা চাঁদনী পসর রাইত
এই তিন টেক্কার এক পাতিলে সহাবস্থান দেখে
চৌচালার এক কোণে খোপের ভিতর কাঁহাতক
ডেকে উঠল বাকবাকুম
ভাদরের ভরা বাদলে সিক্ত
দুরের কোন এক উঁচু ভিটায় কোন রকমে টিকে থাকা
দু'একটি শেয়াল তারাও
অস্তিত্বের জানান দিল প্রায় একই নগ্ন সময়ে
আর
আমার কাছে মনে হল পৃথিবীর সব গান, সব সুর, সব ছবি
যেন একটি রঙিন খাম
কোনো বৈপরীত্য নেই
নেই কোনো বিভাজন
অথচ
হররোজ ঘুম না ভাঙতেই শুনি যা শুনতে চাই না
পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি যা পড়তে চাই না
কেবল বিভেদের মহাপ্রাচীর
আস্তাকুরে মানুষে মানুষে নিত্য কাড়াকাড়ি
এখন আর মন কাঁদে না
আবার মানেও না
না, না, না ------------!!